সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:৩৭ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম
সরকার কৃষক ও ভোক্তা উভয়ের স্বার্থ সংরক্ষণের চেষ্টা করছে – স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা নির্বাচন ও গণভোটের প্রস্তুতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করলেন সিইসি বাণিজ্য উপদেষ্টার সাথে থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত এর বৈঠক খাদ্যদূষণ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার উদ্বেগ, সংকট মোকাবিলায় সকলকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান বায়তুল মুকাররম মসজিদে ইবাদতবান্ধব ধর্মীয় আবহ তৈরি হয়েছে- ধর্ম উপদেষ্টা বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত জুলাই আন্দোলনের শহীদ ১১ স্কাউটের আত্মত্যাগে নতুন বাংলাদেশ নির্মাণের প্রেরণা খুঁজে পাই — শিক্ষা উপদেষ্টা ড. সি. আর. আবরার জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় নারী উদ্যোক্তাদের জন্য অতিরিক্ত অর্থায়ন প্রয়োজন -মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বন্যপ্রাণী রক্ষায় নতুন প্রজন্মের অগ্রণী ভূমিকা অনস্বীকার্য – উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বাংলাদেশ মিশন আদ্দিস আবাবায় ই-পাসপোর্ট সেবা কার্যক্রম এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে।

গাজা যুদ্ধের মধ্যে ফের শীর্ষ মার্কিন পররাষ্ট্র কর্মকর্তার পদত্যাগ

মোঃ সিকান্দার আলী / ৩২২ পাঠক
প্রকাশকাল সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:৩৭ পূর্বাহ্ন

গাজায় যুদ্ধের মধ্যে ফের শীর্ষ মার্কিন পররাষ্ট্র কর্মকর্তার পদত্যা গফাইল ছবি

প্রায় টানা ৯ মাস ধরে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সাথে ইসরায়েলের সংঘাত চলছে। চলমান এই সংঘাতে সরাসরি ইসরায়েলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। একইসঙ্গে গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধের বিষয়েও দেশটি আছে নীরব।

পদত্যাগ করেছেন এই পরিস্থিতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের আরও একজন শীর্ষ কর্মকর্তা। তিনি ইসরায়েল-ফিলিস্তিন বিষয়ক বিশেষজ্ঞ। অবশ্য পদত্যাগের কারণ জানিয়েছেন তিনি ব্যক্তিগত বলে।
শনিবার (২২ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় আট মাসেরও বেশি সময় ধরে চলমান যুদ্ধে ৩৭ হাজার ৪০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং এর মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা এবং ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি বিষয়ক বিশেষজ্ঞ চলতি সপ্তাহে পদত্যাগ করেছেন বলে মার্কিন মিডিয়া জানিয়েছে।
পদত্যাগকৃত ওই কর্মকর্তার নাম অ্যান্ড্রু মিলার। তিনি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি বিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ছিলেন। অ্যান্ড্রু মিলার তার চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্তের জন্য ব্যক্তিগত কারণ উল্লেখ করেছেন বলে ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকা গত শুক্রবার জানিয়েছে।
মিলার তার সহকর্মীদের বলেন, তিনি তার পরিবারের সাথে আরও বেশি সময় কাটাতে চান। কারণ গত বছরের অক্টোবরে শুরু হওয়া বর্তমান যুদ্ধ ‘সবচেয়ে বেশি সময় গ্রাসকারী’ হয়ে উঠেছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ইসরায়েল সরকারের প্রতি ‘শক্তিশালী এবং রুক্ষ সমর্থনের’ বিষয়ে তিনি সংশয়বাদী ছিলেন বলেও ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে। মূলত মার্কিন প্রভাবশালী এই সংবাদমাধ্যমই প্রথম মিলারের পদত্যাগের খবর সামনে আনে।

দীর্ঘ প্রায় ৯ মাস ধরে ইসরায়েল গাজায় আগ্রাসন চালাচ্ছে। আগ্রাসন চালানোর পাশাপাশি ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গাজায় অবরোধ আরোপ করে রেখেছে। এমন অবস্থায় জাতিসংঘ এবং সাহায্য গোষ্ঠীগুলো দীর্ঘদিন ধরে গাজাজুড়ে সাহায্য পৌঁছাতে এবং বিতরণে বিভিন্ন ধরনের বাধার অভিযোগ করে আসছে।

গাজায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা ইতোমধ্যেই ৩৭ হাজার ছাড়িয়ে গেছে এবং অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডজুড়ে মানবিক সংকট গ্রাস করেছে। এই পরিস্থিতিতে মানবাধিকার গোষ্ঠী এবং অন্যান্য সমালোচকরা ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ করার জন্য এবং ইসরায়েলের বর্বর আগ্রাসনের পক্ষাবলম্বনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে অভিযুক্ত করছেন।

আর ইসরায়েলের প্রতি ওয়াশিংটনের অব্যাহত সমর্থন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি সরকারি সংস্থাজুড়ে একের পর এক কর্মকর্তার পদত্যাগের ঘটনা ঘটেছে এবং এর মধ্যে সর্বশেষ পদত্যাগ করলেন মিলার।

ওয়াশিংটন পোস্ট আরও বলেছে, মিলার তার সহকর্মীদের বলেছিলেন- যদি তার ব্যক্তিগত দায়িত্বের জন্য চাকরি ছাড়তে না হতো, তবে তিনি তার চাকরিতে থাকতেই পছন্দ করতেন।

ওয়াশিংটন ডিসি থেকে আল জাজিরার কিম্বার্লি হ্যালকেট বলেছেন, একের পর এক পদত্যাগ গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধে প্রেসিডেন্টের জোরালো সমর্থনের বিষয়ে বাইডেন প্রশাসনের মধ্যে ক্রমবর্ধমান হতাশার কথাই তুলে ধরেছে।

হ্যালকেট বলেছেন, ‘ইতোমধ্যে, বেশ কয়েকজন হাই-প্রোফাইল কর্মকর্তা পদত্যাগ করেছেন, তারা বলেছেন, প্রেসিডেন্ট (জো বাইডেন) কিছু ক্ষেত্রে সত্যকে বিকৃত করছেন বা এমনকি গাজায় বিপুল প্রাণহানির বিষয়েও চোখ বন্ধ রাখছেন।’
আরেক মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, সদ্য পদত্যাগ করা মিলার চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নির্বাহী আদেশ জারিতে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন। আর সেই আদেশে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি সম্প্রদায়ের ওপর হামলার জন্য বেশ কিছু ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *