মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:১০ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম
কপ-৩০ সম্মেলন উপলক্ষে বাংলাদেশের তরুণদের ২৬ দফা দাবি-সংবলিত জলবায়ু সনদ প্রকাশ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর পরিবারের সদস্য এবং অন্যান্যদের নামে নামকরণকৃত প্রতিষ্ঠান/স্থাপনা/প্রকল্পের নাম পরিবর্তন সংক্রান্ত তালিকা হালনাগাদকরণ করেছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। শাহবাগ থানার মামলায় সাবেক সচিব আবু আলম মোহাম্মদ শহীদ খান ও ঝটিকা মিছিলে অংশগ্রহণকারী পাঁচজনসহ মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে ডিবি সাংবাদিকদের কল্যাণে সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগ প্রয়োজন -তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা হাজারীবাগ থানার মানবপাচার মামলায় আন্তর্জাতিক মানবপাচার চক্রের মূলহোতা ও ০৪ জন সহযোগীসহ মোট ০৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-২ ডাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ পুলিশ, সোয়াত টিম, ডগ স্কয়াড ও দুই হাজারের বেশি পুলিশ মোতায়েন থাকবে। -ডিএমপি কমিশনার দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে সকল প্রস্তুতি রয়েছে- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বাংলাদেশের নিরাপদ খাদ্য সম্পর্কিত গবেষণালব্ধ ফলাফল নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে এবং জনহিতকর কাজে প্রয়োগ করা হবে – খাদ্য সচিব মোঃ মাসুদুল হাসান উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা’র সঙ্গে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান রাষ্ট্রদূতদের সৌজন্য সাক্ষাৎ

শেখ পরিবারের নামটি থাকলেই পাস : ৮২ প্রকল্পে ব্যয় ৫১ হাজার কোটি টাকা

মোঃ সিকান্দার আলী / ২৬৭ পাঠক
প্রকাশকাল মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:১০ পূর্বাহ্ন

প্রভাবশালী সাবেক মন্ত্রী–সংসদ সদস্যদের চাপে বেশ কিছু অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প হাতে নিয়েছিল ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার। এসব প্রকল্প যাতে সহজে পাস করানো যায়, সে জন্য কৌশলে ব্যবহার করা হয়েছিল শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নাম। কিছু প্রকল্পের নির্মাণকাজ শেষ হলেও কাজে আসছে না। এতে সরকারি টাকার অপচয় হয়েছে।

শেখ পরিবারের সদস্যদের নামে গত ১৫ বছরে ৫১ হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে ৮২টি উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। এর মধ্যে ৩৮টি প্রকল্পের কাজ শেষ, বাকি ৪৪টি প্রকল্পের কাজ চলছে।

প্রকল্পগুলো নেওয়া হয়েছিল বিনোদনকেন্দ্র, সাফারি পার্ক, দৃষ্টিনন্দন ভবন, নভোথিয়েটার, আইসিটি, বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ ও ডিজিটাল ল্যাব প্রতিষ্ঠার নামে। প্রকল্পগুলো নেওয়া হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা, ছেলে শেখ কামাল ও শেখ রাসেলের নামে। এ ছাড়া শেখ হাসিনার পরিবারের সদস্যদের নামে আরও ৪৩টি প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদনের অপেক্ষায় ছিল। এগুলো অনুমোদনের আগেই সরকারের পতন হয়।

আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে জনগণের টাকা আত্মসাতের বহুমুখী উপায় ছিল। একটি হলো শেখ পরিবারের নাম ব্যবহার করে প্রকল্প নেওয়া। এই পরিবারের নাম ব্যবহার করে প্রকল্প নিলেই জবাবদিহির ঊর্ধ্বে থাকা যায়, সবাই এটি জানত।

ইফতেখারুজ্জামান, নির্বাহী পরিচালক, টিআইবি

পদত্যাগ করার তিন মাস আগে একটি একনেক সভায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরক্তি প্রকাশ করে নিজের নামে আর কোনো প্রতিষ্ঠানের নাম না দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। গত ৯ মে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় তিনি বলেন, নিজের নাম ব্যবহার করে যাতে আর প্রকল্প না নেওয়া হয়। তবু নাম দেওয়া থামেনি। অতি উৎসাহী প্রভাবশালী সাবেক মন্ত্রী ও সরকারি কর্মকর্তারা শেখ পরিবারের সদস্যদের নামে প্রকল্প নিয়েছিলেন। সরকারি নথি পর্যালোচনা করে এসব তথ্য জানা গেছে।

প্রকল্পগুলো নেওয়া হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা, ছেলে শেখ কামাল ও শেখ রাসেলের নামে।

শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে নেওয়া ৮২ প্রকল্পের তালিকা করা হয়েছে শুধু বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আওতায় নেওয়া প্রকল্প থেকে। এর বাইরেও জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টসহ (বিসিসিটি) সরকারের অন্যান্য স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান শেখ পরিবারের সদস্যদের নামে প্রকল্প নিয়েছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের আওতায় শেখ পরিবারের সদস্যদের নামে আরও অনেক স্থাপনা করা হয়েছে গত ১৫ বছরে।

পরিকল্পনা কমিশনের এডিপি বই পর্যালোচনা করে দেখা যায়, শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নাম সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ স্থাপনে। ১২টি প্রকল্পে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার নাম ব্যবহার করা হয়। দ্বিতীয় সবচেয়ে বেশি নাম ব্যবহার হয় তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের প্রকল্পে ১১টি। তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের আটটি, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সাতটি এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের ছয়টি প্রকল্প।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *