মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:১৬ পূর্বাহ্ন
বগুড়া সদর পৌরসভার ১৯ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান শাওন এখন নিজেকে যুবদলের নেতা বলে পরিচয় দিচ্ছেন। চিহ্নিত অস্ত্র ও মাদক ব্যবসায়ী এবং কিশোর গ্যাংয়ের দলপতি হিসেবে তার বিরুদ্ধে ২০টি মামলা রয়েছে কমপক্ষে ।
পুলিশ সুত্রে জানান মানিকচক গ্রামের মোয়াজ্জেম হোসেন জিল্লারের ছেলে মেহেদী হাসান শাওন। তার বিরুদ্ধে ৩টি অস্ত্র মামলা, ৫টি মাদক মামলা, ৯টি হত্যা,চাঁদাবাজি ও চুরির মামলাসহ প্রায় ২০টি মামলা চলমান রয়েছে।
১৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি রেজাউল আলম ও সেক্রেটারি মুক্তার হোসেনের ছায়াতলে নানা কুকর্ম করছে শাওন। তার কারণে বিএনপির বদনাম হচ্ছে বলে জানান এলাকাবাসী। তারা বলছেন, চাঁন্দা শাওনের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠলে আমরা দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানালে র্যাব ১২ ছায়া তদন্ত শুরু করে। গত ১০ অক্টোবর সকাল ৬টায় সদর থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। কয়েকদিন পর জেল থেকে বের হন এবং এলাকায় আবার ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছেন।
শাওনের বিষয়ে জানতে চাইলে বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা বলেন, আমাদের দলের নাম ভাঙিয়ে কেউ যদি এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে, তাহলে তদন্তসাপেক্ষে তাকে বহিষ্কার করা হবে।
তিনি বলেন, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে স্বৈরাচার সরকারের পতন হয়। এই ১৯ নং ওয়ার্ডেই আমরা যুবদলের কয়েকজনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ পাই। এরপর তদন্তসাপেক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে দুজন যুবদলের নেতাকে বহিষ্কার করি।
রেজাউল করিম বলেন, আমরা জিরো টলারেন্স নীতিতে বিশ্বাসী। বহিরাগত কোনো চাঁদাবাজি, দখলবাজ ক্যাডারদের দলে ঢুকতে দেয়া হবে না। দলের কারো বিরুদ্ধে যদি এমন অভিযোগ পাওয়া যায় তাদের সাংগঠনিকভাবে বহিষ্কার করা হবে।
শাওনের সম্পর্কে জানতে চাইলে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস বলেন, অপরাধী কোনো দলের হয় না। কে কোন দলের সেটা দেখে আমরা অভিযান পরিচালনা করছি না। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের বিরুদ্ধে আমরা অভিযান পরিচালনা করি। চাঁদাবাজ, দখলবাজসহ যারা এলাকায় ত্রাসের সৃষ্টি করে তাদের বিষয়ে আমরা সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।