বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫, ১২:০১ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম
বাণিজ্য উপদেষ্টার সাথে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার সাউথ-সাউথ অ্যান্ড ট্রায়াঙ্গুলার কো-অপারেশন বিভাগের পরিচালক এর বৈঠক জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি ৪৪ জনের মধ্যে আটজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার সাথে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ সোহাগ হত্যা মামলার আরও দুই আসামি গ্রেফতার ১০,০০০ পিস ইয়াবাসহ তিন মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে ডিবি-গুলশান* মাইলস্টোন স্কুলে বিমান দুর্ঘটনায় হতাহতের তালিকা প্রস্তুত করতে স্কুল কর্তৃপক্ষের কমিটি গঠন প্রকৃতি-ভিত্তিক সমাধান এবং উন্নত দেশগুলোকে যথাযথভাবে জলবায়ু দায়িত্ব পালনের আহ্বান – উপদেষ্টার সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান গুলিস্তানে ছাত্রলীগের দুই সদস্য ককটেলসহ গ্রেফতার র্ণফুলী টানেলের মেইনটেন্যান্স কাজের জন্য ট্রাফিক ডাইভারসন শিক্ষা সচিব পরীক্ষা পেছাতে রাজি হয় নাই শিক্ষার্থীদের বিক্ষুব্ধ করতেই এই কৌশল

নিজের মেয়েকে বিয়ে কেন অন্য মেয়েদের সন্ন্যাসী করে সদগুরু, প্রশ্ন আদালতের

মোঃ সিকান্দার আলী / ২৪৮ পাঠক
প্রকাশকাল বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫, ১২:০১ পূর্বাহ্ন

সদগুরু জগ্গি বাসুদেব। ‘সদগুরু’ হিসেবে পরিচিত ভারতীয় আধ্যাত্মিক নেতা জগ্গি বাসুদেব নিজের কন্যাকে ভরতনট্টম নাচ শিখিয়েছেন। ধুমধাম করে কন্যার বিয়েটা ও দিয়েছেন ভারতীয় এক সংগীত শিল্পীর সাথে। তিনিই আবার অন্য মেয়েদের মাথা ন্যাড়া করে পার্থিব জীবন ত্যাগ করার মন্ত্র দেন। সদগুরুর জীবনের এমন বৈপরীত্য নিয়ে গত সোমবার প্রশ্ন তুলেছে মাদ্রাস হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার এনডিটিভি জানিয়েছে, একজন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আদালতে অভিযোগ করেছেন—তাঁর দুই শিক্ষিত কন্যাকে সদগুরুর প্রতিষ্ঠিত ইশা যোগ আশ্রমে স্থায়ীভাবে থাকার জন্য ‘মগজ ধোলাই’ করেছেন। অধ্যাপকের অভিযোগের ভিত্তিতেই সদগুরুর জীবনাচার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি এস এম সুব্রামানিয়াম এবং ভি শিবগ্নানামের একটি বেঞ্চ। 

তামিলনাড়ু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এস কামরাজ আদালতে তাঁর কন্যাদের সশরীরে উপস্থিত হওয়ার জন্য একটি আবেদন করেছিলেন। গতকাল সোমবার কন্যারা আদালতে হাজিরও হন। কিন্তু ৪২ এবং ৩৯ বছর বয়সী তাঁর দুই কন্যা আদালতকে সোজাসাপ্টা জানিয়ে দেন—তারা নিজের ইচ্ছায়ই ইশা ফাউন্ডেশনে অবস্থান করছেন। তাঁদের কেউ জোর করে আটকে রাখেন নাই। 

দুই কন্যার জন্য অধ্যাপক পিতার এই মামলাটি প্রায় এক দশকের পুরোনো। এর আগেও পিতার আবেদনে আদালতে হাজির হয়ে একই রকম বক্তব্য দিয়েছিলেন কন্যারা। অধ্যাপক এস কামরাজ এবং তাঁর স্ত্রী দাবি করে আসছেন, কন্যারা ছেড়ে যাওয়ার পর তাঁদের জীবন নরকের মতো হয়েছে। 

বিচারকেরা অবশ্য মামলাটি আরও তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং ইশা ফাউন্ডেশন সম্পর্কিত সব মামলার একটি তালিকা তৈরি করতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন। 

বিচারপতি শিবগ্নানাম বলেন, ‘আমরা জানতে চাই, একজন ব্যক্তি যে তার মেয়েকে বিয়ে দিয়েছিলেন এবং তাঁকে জীবনে ভালোভাবে স্থির করেছেন, তিনি কেন অন্যের কন্যাদের মাথা কামিয়ে এক আশ্রমবাসীর মতো জীবনযাপন করতে উৎসাহিত করছেন।’ 

এ বিষয়ে ইশা ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ জোর দিয়ে বলে আসছে, নারীদের কাউকেই জোর করে তাদের আশ্রমে রাখা হয় নাই। তাঁরা নিজের ইচ্ছায়ই তাঁদের সঙ্গে থাকতে করেন পছন্দ। 

ইশা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘আমরা বিশ্বাস করি, নিজের পথ বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা এবং ক্ষমতা আছে প্রাপ্তবয়স্ক মানুষদের। আমরা বিবাহ কিংবা সন্ন্যাস চাপিয়ে দেই না। কারণ এগুলো ব্যক্তিগত পছন্দের বিষয়। ইশা যোগ কেন্দ্রে হাজার হাজার মানুষ আসেন। তারা সবাই সন্ন্যাসী নন। তাদের মধ্যে কিছু আছেন যারা ব্রহ্মচর্য বা সন্ন্যাস গ্রহণ করেন।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *