বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৩৩ অপরাহ্ন
বাংলাদেশ এখন স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে পরবর্তী ধাপে উত্তরণের রয়েছে প্রক্রিয়ায়। এ রকম অবস্থায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে চুক্তি সই করেছে ভিয়েতনাম মুক্ত বাণিজ্য । এই দুটি ঘটনার সম্মিলিত প্রভাবে ইইউর বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানি ২১ দশমিক ২ শতাংশ পর্যন্ত পারে কমতে । আবার এই রপ্তানি কমার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ১ শতাংশ কমার রয়েছে আশঙ্কা । রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্টের (র্যাপিড) এমন তথ্যই উঠে এসেছে এক গবেষণায়।
আজ বুধবার রাজধানীর শেরাটন হোটেলে ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন-ভিয়েতনাম মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি: বাংলাদেশের রপ্তানি প্রতিযোগিতার সক্ষমতায় প্রভাব’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে গবেষণার তথ্য প্রকাশ করেছে র্যাপিড। এ নিয়ে অনুষ্ঠানে একটি উপস্থাপনা দেন র্যাপিডের চেয়ারম্যান এম এ রাজ্জাক।
এম এ রাজ্জাক ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ভিয়েতনামের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) এবং বাংলাদেশের এলডিসি উত্তরণের বাস্তবতায় রপ্তানি খাতে কী প্রভাব পড়তে পারে, তার ওপর আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে এফটিএর ফলে ভিয়েতনামে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) প্রবাহ বেড়েছে। এটা আরও বাড়বে বলে তারা আশা করছে। সে ক্ষেত্রে সবচেয়ে লাভবান হবে তাদের বস্ত্র ও তৈরি পোশাক খাত, সেটাই বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় সংকট। কারণ, বাংলাদেশের মোট রপ্তানির প্রায় ৮৫ শতাংশ তৈরি পোশাক।
আব্দুর রাজ্জাক আরও বলেছেন, একদিকে এফটিএর কারণে ইইউতে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে ভিয়েতনামের ওপর থেকে ধারাবাহিকভাবে শুল্ক উঠে যাচ্ছে, আরেক দিকে এলডিসি উত্তরণের কারণে বাংলাদেশের পণ্যে শুল্ক বাড়বে। ২০২৬ সালে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় যুক্ত হলেও পরের তিন বছর ইইউর বাজারে এই সুবিধা থাকবে। তারপর কিন্তু শুল্ক দিতে হবে। এই দুটি বাস্তবতাই উদ্বেগজনক এ কারণে যে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ৪৮ শতাংশের গন্তব্য ইইউ। এই পরিপ্রেক্ষিতে ইইউ বাংলাদেশকে এলডিসি উত্তরণ–পরবর্তী আরও কয়েক বছর সুবিধা দিতে পারে। তবে সেটি পেতে উদ্যোগী হতে হবে বাংলাদেশকে ।