শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:৪৩ পূর্বাহ্ন
গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি থাকা সত্ত্বেও কেন তাঁকে গ্রেপ্তার হয়নি তিনি পরে কীভাবে দেশের সীমান্ত অতিক্রম করলেন, সে বিষয়ে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যাখ্যা দিতে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন।’
কেউ যদি আদালতের নির্দেশনা থাকার পরও কাউকে পালাতে সাহায্য করেন, তাহলে আইন অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে বলে ও জানিয়েছেন তিনি।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চিফ প্রসিকিউটর আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনার নির্দেশে ও পরিকল্পনায় বিভিন্ন সময় ওবায়দুল কাদেরসহ মন্ত্রিপরিষদের বিভিন্ন সদস্য মানুষকে গুম ও হত্যা করতে সরাসরি সাহায্য করেছেন। যাঁরা এই গুমের ঘটনায় সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন, তাঁদের তথ্য কমিশনের কাছে এসেছে এবং তা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বৈষমবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগে গত ১৭ অক্টোবর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারের সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। আসামিদের মধ্যে ৯ জন সাবেক মন্ত্রীসহ ১৩ জনকে ১৮ নভেম্বর ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। পরে শুনানি শেষে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়। পাশাপাশি এই মামলার বাকি আসামিদেরও (গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি থাকা) ১৭ ডিসেম্বর হাজির করার নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। তারই ধারাবাহিকতায় আজ সকালে আগের ১৩ জনসহ ১৬ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।