সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:২০ অপরাহ্ন

শিরোনাম
ডিএফপির গবেষণাপত্রের মোড়ক উন্মোচন করলেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নুরুল হকের উপর এই অমানবিক হামলা কোনোভাবেই কাম্য নয় -উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ রাজধানীর কদমতলী থানা এলাকা হতে ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে ৬,৩৪০ পিচ ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করেছে -র‍্যাব ২ নূরুল হককে দেখতে ঢামেক হাসপাতালে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা কৃষিতে অতিরিক্ত বালাইনাশক ব্যবহারের ফলে হাওরের মৎস্য সম্পদ ক্ষতির সম্মুখীন — মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ধর্ম উপদেষ্টার সাথে পাকিস্তানের নবনিযুক্ত হাইকমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাৎ দেশজুড়ে অভিযান: নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ, কারখানা সিলগালা, জরিমানা ও সতর্কীকরণ কার্যক্রম পরিচালিত গুলিস্তানে চোরাই মোবাইল চক্রের দশ সক্রিয় সদস্য গ্রেফতার: উদ্ধার ১০৩টি মোবাইল ফোন শরীয়তপুর জাজিরা উপজেলার পালেরচর ইউনিয়নের গয়জদ্দিন আকন কান্দিতে প্রকাশ্য দিবালোকে মধ্যবয়সী নারীকে বেআইনিভাবে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে রোহিঙ্গা নারী ও মেয়েদের জন্য জরুরি সুরক্ষার প্রয়োজন

নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে সাত কলেজ নিয়ে ?

মোঃ সিকান্দার আলী / ২২৭ পাঠক
প্রকাশকাল সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:২০ অপরাহ্ন

রাজধানীর সাত কলেজের চলমান সমস্যা সমাধানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে। কলেজ সাতটি হলো—ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেছা সরকারি কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ, কবি নজরুল।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে সাতটি কলেজের অধ্যক্ষদের নিয়ে বৈঠক করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্তের ফলে কোন কর্তৃপক্ষের অধীনে থাকবে এই সাতটি কলেজ, তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

বৈঠকের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা আলোচনার মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের সম্মানজনক পৃথকীকরণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের সিদ্ধান্ত ছিল– আগামী বছর ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে সাত কলেজের ভর্তি কার্যক্রম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করবে না। কিন্তু উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সেই সিদ্ধান্ত আমরা এক বছর এগিয়ে এনেছি। চলতি (২০২৪-২৫) শিক্ষাবর্ষ থেকে সাত কলেজের ভর্তি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নেওয়া হবে না।’

এই সিদ্ধান্তের ফলে অতি দ্রুত কোনও একটি কর্তৃপক্ষের অধীনে নিতে হবে সাতটি কলেজকে।

কলেজগুলোর সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত থাকছে না। তাছাড়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তিও মানবে না শিক্ষার্থীরা। সে কারণে তৃতীয় কোনও কর্তৃপক্ষের অধীনে থাকবে এই সাতটি কলেজ। কিন্তু নতুন করে কোনও কর্তৃপক্ষ গঠন করা বা নতুন করে বিশ্ববিদ্যালয় করাও জটিল বিষয়। তাছাড়া ছাত্রদের দাবির বিষয়টি গুরুত্ব দিলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ছাড়া কোনও উপায় নেই।  
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সমকক্ষ একটি স্বতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর রূপরেখা প্রণয়নে একটি কমিটি গঠন করেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। চার সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রধান করা হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যানকে। চার সদস্যের অন্যরা হলেন—শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ও ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক তানজিমউদ্দিন খান।

জানতে চাইলে কমিটির প্রধান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ও ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক তানজিমউদ্দিন খান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘কোনও প্রকার আলাপ-আলোচনা না করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাতটি কলেজের অধিভুক্তি বাতিল করে পরিস্থিতি আরও জটিল করা হলো। সমস্যা সমাধানের বিষয়টি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করা সম্ভব কিনা জানতে চাইলে কমিটির একজন সদস্য বলেন, ‘কমিটির কার্যপরিধির মধ্যে তা নেই। কমিটি হয়তো বিশ্ববিদ্যালয় করার সুপারিশ করতে পারে, কিন্তু তারা তো বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে পারবে না। সে ক্ষেত্রে পরিস্থিতি জটিল হয়ে গেলো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উচিত হয়নি ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি না নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা। তাছাড়া হঠাৎ সাত কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে অধিভুক্তি বাতিল করা যায় না। তার একটি প্রক্রিয়া রয়েছে। সময় প্রয়োজন। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন অনিশ্চয়তায় পড়লো। এমন পরিস্থিতি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার পরিস্থিতিতে সরকারকে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এটি ঠিক হয়নি।’

অধিভুক্তি বাতিলের পর পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে জানতে চাইলে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ. কে. এম. ইলিয়াস বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ইতোমধ্যে একটি কমিটি করা হয়েছে। কমিটি যে সুপারিশ করবে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আর আমরা চলমান পরীক্ষাগুলো স্থানীয়ভাবে নেবো, যাতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন কোনোভাবেই বিঘ্নিত না হয়।’

কোন কর্তৃপক্ষের অধীনে এখন সাত কলেজ পরিচালিত হবে জানতে চাইলে কবি নজরুল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘নতুন কোনও কর্তৃপক্ষের আন্ডারে।’

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তিতে পরিচালিত হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘না, তা হবে না। নতুন কোনও কর্তৃপক্ষের অধীনে।’

নতুন বিশ্ববিদ্যালয় করে তার অধীনে পরিচালিত হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সমকক্ষ একটি স্বতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো করতে গঠিত কমিটি যে সুপারিশ করবে, সেই সুপারিশ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত হবে।’

নতুন বিশ্ববিদ্যালয় করে এই সাত কলেজ পরিচালিত হবে কিনা জানতে চাইলে একটি কলেজের অধ্যক্ষ নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় করা ছাড়া ছাত্ররা মেনে নেবে না। সে কারণে সরকারকে সেদিকেই যেতে হবে। তবে নতুন কোনও কর্তৃপক্ষ গঠন করা হতে পারে কিনা তা নিয়ে কোনও আলোচনা এখনও হয়নি।     

এদিকে আন্দোলনকারীদের এক দফা দাবি- সাত কলেজের জন্য স্বতন্ত্র একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *