শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:৩৭ পূর্বাহ্ন
আজ ০৫ জানুয়ারী (বুধবার) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া-এঁর সাথে বাংলাদেশে সফরকারী যুক্তরাজ্যের মানবাধিকার বিষয়ক রাষ্ট্রদূত এলেনর স্যান্ডার্স এর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদলের সৌজন্য সাক্ষাৎ নগর ভবন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে তাঁর অফিসকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকের শুরুতে উপদেষ্টা যুক্তরাজ্যের মানবাধিকার বিষয়ক রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে, দু’দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বৃদ্ধির পাশাপাশি বহুপাক্ষিক প্ল্যাটফর্মে সহযোগিতা জোরদারের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেন। এ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত জানান, পারস্পরিক সম্পর্ক, মানবাধিকার, আইনের শাসন ও ব্যবসায়িক স্বার্থে দু’দেশের সহযোগিতা জোরদার করতে কাজ করবে তার সরকার।
এই সাক্ষাৎকারে – মানবাধিকার, গণতন্ত্র, জবাবদিহিতা ও ন্যায়বিচার, ধর্ম বা বিশ্বাসের স্বাধীনতা, কর্মসংস্থান, যুব ও ক্রীড়া, তারুণ্যের রাজনৈতিক ভাবনা ও নেতৃত্ব, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, লিঙ্গ সমতা, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি এবং শ্রম অধিকারের মতো বিভিন্ন অগ্রাধিকারমূলক বিষয়ে আলোচনা হয়।
দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে ফ্যাসিস্ট রেজিমের চালানো প্রোপাগান্ডা জনসম্মুখে আসা উচিৎ।’ এছাড়াও বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে গুম, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, জুলাই গণঅভ্যুত্থান-২০২৪ এ গণহত্যা এবং রাজনৈতিক স্বৈরতন্ত্রের কথা উল্লেখ করেন তিনি। বেকার যুবক, নারী এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থান সংক্রান্ত গৃহীত বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান উপদেষ্টা।
এ প্রসঙ্গে যুক্তরাজ্যের মানবাধিকার বিষয়ক রাষ্ট্রদূত বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর থেকে যুক্তরাজ্য সরকার বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার, গণতন্ত্র, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সরকারের এজেন্ডাকে সমর্থন করেছে। ভবিষ্যতেও এই সম্পর্ক অটুট রাখার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। এছাড়াও কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে, মানবাধিকার এবং শ্রম অধিকার বিষয়ে বাংলাদেশকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার আশ্বাস প্রদান করেন যুক্তরাজ্যের মানবাধিকার বিষয়ক রাষ্ট্রদূত।
সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগ ও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।