শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:৫৬ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম
টাঙ্গুয়ার হাওরের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে – মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্ট বিশেষ অভিযানে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ৩৪ জনকে গ্রেফতার করেছে মোহাম্মদপুর ও আদাবর থানা পুলিশ বাংলাদেশ ‘শিরোপা জয়ের লক্ষ্য নিয়ে খেলবে’ কুমিল্লা সীমান্তে প্রায় ৫ কোটি টাকা মূল্যের ভারতীয় মোবাইল ডিসপ্লে জব্দ করেছে বিজিবি তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন অবশ্যই জরুরি– উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী প্রধান উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাৎ করেন, ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের জন্য সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দেন মার্কিন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে “বিপ্লবী” পোর্টেবল এআই আল্ট্রাসাউন্ড ডিভাইস চালু করার পরিকল্পনা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সানজিদ হোসেন মৃধা হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামি ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার চলতি অর্থবছরে ৩৯ হাজার কোটি টাকা কৃষি ঋণ দেবে সরকার- কৃষি সচিব এএফডি ও এমআইএসটি এর যৌথ ব্যবস্থাপনায় RESILIENCE IN THE INFORMATION DOMAIN: TOOLS TO ADDRESS MISINFORMATION AND DISINFORMATION ON SOCIAL MEDIA শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

বোটানিক্যাল গার্ডেনগুলোকে প্রকৃতি সংরক্ষণস্থল হিসেবে গড়ে তোলা হবে। – বার্ষিক বোটানিক্যাল কনফারেন্সে উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

আলী আহসান রবি / ১৩৭ পাঠক
প্রকাশকাল শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:৫৬ পূর্বাহ্ন

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বোটানিক্যাল গার্ডেন শুধু বিনোদনের স্থান নয়, এটি প্রকৃতি সংরক্ষণের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। এসব উদ্যানকে প্রকৃতির সংরক্ষণস্থল হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। কেউ এ সংক্রান্ত কার্যকর প্রস্তাব দিলে তা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হবে।

আজ শুক্রবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত বার্ষিক বোটানিক্যাল কনফারেন্স ২০২৪-এর উদ্বোধনী অধিবেশনে তাঁর ঢাকাস্থ বাসভবন হতে অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির উদ্বোধনী বক্তব্য প্রদানকালে পরিবেশ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, দেশের পাহাড়ি ও উপকূলীয় বনসহ বিপন্ন বনাঞ্চল রক্ষায় সরকার কাজ করছে। বন সংরক্ষণে ট্যুরিজম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছে। তিনি বলেন, অবৈধ দখলমুক্ত করে পুনরায় বনায়ন করতে হবে। কোনো উন্নয়ন প্রকল্পের কারণে বন উজাড় হলে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে সঙ্গে সঙ্গে পুনরায় বৃক্ষরোপণ নিশ্চিত করতে হবে।

রিজওয়ানা হাসান জানান, শালবন পুনরুদ্ধারে একটি মহাপরিকল্পনা গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শুধু দেশীয় গাছ রোপণ করলেই হবে না, এগুলো টিকিয়ে রাখার ব্যবস্থাও জরুরি। সামাজিক বনায়নের মাধ্যমে প্রাকৃতিক বন পুরোপুরি ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। তাই কোনো বনায়ন প্রকল্পের কারণে প্রাকৃতিক বন ধ্বংস করা যাবে না।

নগরায়ণের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ঢাকাসহ দেশের নগর এলাকায় সবুজায়ন ও আরবান ফরেস্ট্রি প্রসারে পরিকল্পিত উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।” সংবিধানে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের অঙ্গীকার করা হয়েছে, তা বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশের প্রশংসা করে তিনি বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবাদীদের উত্থানের অন্যতম কারণ এখানকার প্রকৃতিবান্ধব পরিবেশ। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও এ ধরনের প্রাকৃতিক পরিবেশ গড়ে তোলা প্রয়োজন।

বাংলাদেশ বোটানিক্যাল সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ড. এম. আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই কনফারেন্সে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান, প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর (একাডেমিক) প্রফেসর ড. এম. মাহফুজুর রহমান, প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর (প্রশাসন) প্রফেসর ড. সোহেল আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. এম আব্দুর রব এবং বিজ্ঞান অনুষদের বিশিষ্ট অধ্যাপকবৃন্দ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *