বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫, ১২:০৭ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম
বাণিজ্য উপদেষ্টার সাথে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার সাউথ-সাউথ অ্যান্ড ট্রায়াঙ্গুলার কো-অপারেশন বিভাগের পরিচালক এর বৈঠক জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি ৪৪ জনের মধ্যে আটজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার সাথে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ সোহাগ হত্যা মামলার আরও দুই আসামি গ্রেফতার ১০,০০০ পিস ইয়াবাসহ তিন মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে ডিবি-গুলশান* মাইলস্টোন স্কুলে বিমান দুর্ঘটনায় হতাহতের তালিকা প্রস্তুত করতে স্কুল কর্তৃপক্ষের কমিটি গঠন প্রকৃতি-ভিত্তিক সমাধান এবং উন্নত দেশগুলোকে যথাযথভাবে জলবায়ু দায়িত্ব পালনের আহ্বান – উপদেষ্টার সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান গুলিস্তানে ছাত্রলীগের দুই সদস্য ককটেলসহ গ্রেফতার র্ণফুলী টানেলের মেইনটেন্যান্স কাজের জন্য ট্রাফিক ডাইভারসন শিক্ষা সচিব পরীক্ষা পেছাতে রাজি হয় নাই শিক্ষার্থীদের বিক্ষুব্ধ করতেই এই কৌশল

স্বচ্ছ জলবায়ু অর্থায়নের আহ্বান জানিয়ে তহবিল ঝুঁকি ও প্রবেশাধিকার বাধার বিষয়ে সতর্ক করলেন পরিবেশ উপদেষ্টা।

মোঃ সিকান্দার আলী / ১২০ পাঠক
প্রকাশকাল বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫, ১২:০৭ পূর্বাহ্ন
Exif_JPEG_420

অস্ট্রেলিয়ার জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক দূত ক্রিস্টিন টিলি ঢাকায় দি ওয়েস্টিন হোটেলে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। আলোচনায় জলবায়ু অর্থায়ন ও বৈশ্বিক সহযোগিতার বিভিন্ন দিক উঠে আসে।

বৈঠকে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, জলবায়ু অর্থায়নের সংজ্ঞা স্পষ্ট হওয়া দরকার। তিনি উল্লেখ করেন, এটি এমনভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে যাতে বিভিন্ন ধরনের সহায়তাও এর অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে, যা সঠিক নয়। তিনি বলেন, যেসব দেশ অতীতে বেশি কার্বন নিঃসরণ করেছে, তাদের বড় দায়িত্ব রয়েছে। তবে কিছু উন্নয়নশীল দেশও এখন বড় দূষক। তাদেরও অবদান রাখা উচিত। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, এমন কোনো অবস্থান নেয়া যাবে না, যা গুরুত্বপূর্ণ জলবায়ু তহবিলের ঝুঁকি বাড়াবে।

বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে তিনি বলেন, জলবায়ু অর্থায়নে আরও দেশকে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি বাংলাদেশ সমর্থন করে। তবে তিনি মনে করেন, উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর উদ্দেশ্য এক নয়। কেউ কেউ ভোগবাদী জীবনযাত্রা টিকিয়ে রাখতে চায়, আর কেউ দারিদ্র্য দূরীকরণে কাজ করছে। তিনি আরও বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সরে আসা অনেক দেশের জন্য কঠিন হতে পারে।

প্যারিস চুক্তির কাঠামোকে তিনি ইতিবাচক হিসেবে দেখেন, তবে বলেন, বিশ্ব সঠিক পথে নেই। পাঁচ বছর পরপর উচ্চতর লক্ষ্য নির্ধারণের ব্যবস্থা কার্যকর হলেও বাস্তবে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি হচ্ছে না। জীবাশ্ম জ্বালানি ও প্লাস্টিক বিষয়ক আলোচনায় বাধার বিষয়টিও তিনি উল্লেখ করেন।

অস্ট্রেলিয়ার ২০২৬ সালে COP31 আয়োজনের প্রস্তাব নিয়ে রিজওয়ানা হাসান বলেন, কঠোর ভিসানীতি থাকলে দক্ষিণের দেশগুলোর অংশগ্রহণ বাধাগ্রস্ত হতে পারে। আগের কয়েকটি COP-এ এমন সমস্যার উদাহরণ দেখা গেছে।

ক্রিস্টিন টিলি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অস্ট্রেলিয়া সহযোগিতা বাড়াতে চায়। তিনি স্বীকার করেন, অভিযোজন প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ নেতৃত্ব দিচ্ছে, তবে আন্তর্জাতিক আলোচনায় দেশের অবস্থান আরও শক্তিশালী হওয়া উচিত। তিনি বলেন, জলবায়ু অর্থায়নের ক্ষেত্রে প্রকল্প গ্রহণের চেয়ে কাঠামোগত পরিবর্তনে জোর দেয়া জরুরি।

দুই পক্ষই দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেন। তারা বলেন, জাতিসংঘের কাঠামো ধরে রাখা জরুরি হলেও বিকল্প পথ নিয়েও ভাবতে হবে।

এর আগে উপদেষ্টা ঢাকায় দি ওয়েস্টিনে “বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া: জলবায়ু নীতি ও সবুজ জ্বালানি রূপান্তর” শীর্ষক সংলাপে অংশ নেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *