বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:২৪ অপরাহ্ন

শিরোনাম
মহেশখালী- মাতারবাড়ীতে নতুন শহরের জন্ম হবে : প্রধান উপদেষ্টা সামুদ্রিক সম্পদ রক্ষায় বৈশ্বিক অংশীদারিত্বের আহ্বান পরিবেশ উপদেষ্টার বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা দ্বিতীয়বারের মতো স্থাপত্যের জন্য আগা খান পুরস্কার লাভের জন্য স্থপতি মেরিনা তাবাসসুমকে অভিনন্দন জানিয়েছেন চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নয়নে এআই বিশেষ অবদান রাখতে সক্ষম বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ৫০ জনকে গ্রেফতার করেছে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ নিরাপত্তা ছাড়পত্র বিডা ওএসএস এর মাধ্যমে পুরোপুরি ডিজিটাল হচ্ছে নুরুল হক নূরের সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার নৌপরিবহন উপদেষ্টার সাথে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ শব্দ ও বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে দেশজুড়ে অভিযান, ৪৪৪০ কেজি নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন জব্দ সমুদ্রে আমাদের সম্পদ এখনো অজানা – মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার

সোনাদিয়ার ৯ হাজার ৪৬৭ একর জমি বন বিভাগের অনুকূলে হস্তান্তরের উদ্যোগ: রক্ষিত এলাকা ঘোষণা করবে বন বিভাগ।

মোঃ সিকান্দার আলী / ৬০ পাঠক
প্রকাশকাল বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:২৪ অপরাহ্ন

কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার সোনাদিয়ার পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ৯ হাজার ৪৬৭ একর জমি বন বিভাগের অনুকূলে হস্তান্তরের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ইকো-ট্যুরিজম পার্ক স্থাপনের জন্য বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) অনুকূলে বরাদ্দকৃত জমি বন বিভাগের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।

১৬ মার্চ ২০২৫, রবিবার, বেজার পরিচালক (বিনিয়োগ উন্নয়ন ও মনিটরিং-১) শাহীন আক্তার সুমী কক্সবাজারের জেলা প্রশাসককে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছেন। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।

ইকো পার্কের জন্য বরাদ্দকৃত জমিতে অবৈধভাবে গাছ কাটা, চিংড়িঘের নির্মাণসহ পরিবেশ বিধ্বংসী কার্যক্রম চলায় দ্বীপের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। এ অবস্থায়, বরাদ্দকৃত জমি বন বিভাগের অনুকূলে হস্তান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ৯ হাজার ৪৬৭ একর বনভূমির পরিবেশ পুনরুদ্ধারে বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে।

উক্ত কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছেঃ জবরদখলমুক্তকরণ, খালের মুখ ও শাখা-শাখার বাঁধ অপসারণ করে জোয়ারের পানি প্রবেশ সুগম করা, বালিয়াড়ী পুনরুদ্ধার ও বীচ সংরক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ, জীববৈচিত্র্য পুনরুদ্ধারে বিভিন্ন ম্যানগ্রোভ ও নন-ম্যানগ্রোভ, কাউ, কেয়া, নিশিন্দা, নারিকেল, তাল এবং ঘটিভাঙ্গার সাথে সংযোগকারী রাস্তায় বনায়ন কার্যক্রম সম্পাদন করা হবে এবং অবক্ষয়িত ম্যানগ্রোভ বন পুন:প্রতিষ্ঠা করা হবে।

এছাড়া, জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে ৯ হাজার ৪৬৭ একর বনভূমিকে রক্ষিত এলাকা ঘোষণা করা হবে। ফলে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষিত হবে, অবৈধ কার্যক্রম বন্ধ হবে এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *