সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:১৩ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম
সরকার কৃষক ও ভোক্তা উভয়ের স্বার্থ সংরক্ষণের চেষ্টা করছে – স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা নির্বাচন ও গণভোটের প্রস্তুতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করলেন সিইসি বাণিজ্য উপদেষ্টার সাথে থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত এর বৈঠক খাদ্যদূষণ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার উদ্বেগ, সংকট মোকাবিলায় সকলকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান বায়তুল মুকাররম মসজিদে ইবাদতবান্ধব ধর্মীয় আবহ তৈরি হয়েছে- ধর্ম উপদেষ্টা বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত জুলাই আন্দোলনের শহীদ ১১ স্কাউটের আত্মত্যাগে নতুন বাংলাদেশ নির্মাণের প্রেরণা খুঁজে পাই — শিক্ষা উপদেষ্টা ড. সি. আর. আবরার জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় নারী উদ্যোক্তাদের জন্য অতিরিক্ত অর্থায়ন প্রয়োজন -মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বন্যপ্রাণী রক্ষায় নতুন প্রজন্মের অগ্রণী ভূমিকা অনস্বীকার্য – উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বাংলাদেশ মিশন আদ্দিস আবাবায় ই-পাসপোর্ট সেবা কার্যক্রম এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে।

বালু খেকো হেমায়েতের কাছে এলাকাবাসী জিম্মি

Enbnews24 | ইএনবি নিউজ ডেস্ক- / ২৪২ পাঠক
প্রকাশকাল সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:১৩ পূর্বাহ্ন

নড়াইল প্রতিনিধি:
বালু খেকো হেমায়েতের অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে সৃষ্ট নদী ভাঙন ও শিশুদের চরম দুর্ভোগের ধারাবাহিক
প্রতিবেদনের প্রথম পর্ব।

নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার মধুমতি নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে নদী ভাঙনসহ নানা পরিবেশগত ও সামাজিক সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে। জেলার মাকড়াইল,কাশিপুর ও রামচন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দারা এ অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছেন, কিন্তু কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এর ফলে বিশেষ করে স্কুলগামী শিশুদের জীবন সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মুখে পড়েছে।

ভুক্তভোগীরা জানীয়েছেন, বালু খেকো
হেমায়েতের বালুর ট্রাক এবং লরী অনেক
সময় গভীর রাত্রে চলাচল করে তখন গাড়ীর বিকট শব্দে বাচ্চা এবং বৃদ্ধরা
ঘুম থেকে আতকে ওঠে।বালু পরিবহনের
কারনে পরিবেশ সংক্রান্ত যত রকম ঝুকি
রয়েছে যেমন স্বাস্থ্য ঝুকি, শব্দ দূষণ ও
বায়ু দূষণের মত ভয়াবহ বিপর্যয় সৃষ্টি হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, প্রভাবশালী বালু ব্যবসায়ীরা নদীতে জেটি স্থাপন করে নির্বিচারে বালু উত্তোলন করছে। এর ফলে নদীর ভাঙন বৃদ্ধি পেয়ে কৃষিজমি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় স্থাপনাসহ অসংখ্য বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২০২১-২২, ২০২২-২৩ এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছরে নদী ভাঙনের কারণে দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তিনটি মসজিদ এবং শতাধিক বাড়ি বিলীন হয়েছে। এলাকাবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে ১১০০ মিটার অস্থায়ী প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণ করলেও তা পর্যাপ্ত নয়। সবচেয়ে বড় সমস্যায় পড়েছে স্কুলগামী শিশুরা, যাদের বিদ্যালয়ে যাতায়াত এখন কঠিন হয়ে পড়েছে।

অতিরিক্ত বালুবাহী ট্রাক ও লরির চলাচলের ফলে শিশুদের স্কুলে যাতায়াত চরম ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। মাকড়াইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চলাচলের প্রধান সড়কটি এখন অত্যন্ত বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন প্রচুর ভারী যানবাহন চলাচল করায় শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।এছাড়া, অপ্রাপ্তবয়স্ক ও লাইসেন্সবিহীন চালকদের বেপরোয়া গাড়ি চালানোর কারণে দুর্ঘটনার সংখ্যা বাড়ছে, যা অভিভাবকদের দুশ্চিন্তার বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বালু উত্তোলনের ফলে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যাহত হচ্ছে, নদীর দুই পাশের মাটিতে ফাটল দেখা দিয়েছে এবং আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা ধুলাবালির কারণে শ্বাসকষ্টসহ নানা স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। অনেক শিশু ইতোমধ্যে শ্বাসকষ্ট, অ্যালার্জি এবং অন্যান্য শ্বাসতন্ত্রের সমস্যায় ভুগতে শুরু করেছে।

এদিকে,স্থানীয় নারীরা অভিযোগ করেছেন, বালুবাহী ট্রাক ও লঞ্চের চালক ও সহকারীরা প্রায়ই স্কুলগামী ছাত্র ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে অশালীন মন্তব্য করে, যা শিশুদের নিরাপত্তার জন্যও হুমকিস্বরূপ।

এলাকাবাসী একাধিকবার এ অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ গড়ে তুললেও,স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি
আওয়ামিলীগের দোসর হেমায়েত মোল্লা (সহ-সভাপতি, ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ) ও জহুর মোল্লা (সাধারণ সম্পাদক, ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ) এর নেতৃত্বে বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, এই নেতৃবৃন্দ যেকোনো প্রতিবাদ দমন করতে সশস্ত্র অবস্থান নেন এবং স্থানীয়দের হুমকি প্রদান করেন।

এলাকাবাসীর দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে:
১. মধুমতি নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করা।
২. বালুবাহী ট্রাক ও লরির কারণে সৃষ্ট সমস্যা সমাধানে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া।
৩. স্থানীয় সড়কের রক্ষণাবেক্ষণ নিশ্চিত করা এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
৪. অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী, যাতে বিশেষ করে স্কুলগামী শিশুরা নিরাপদে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারে এবং একটি সুষ্ঠু পরিবেশে বেড়ে উঠতে পারে।

বালু খেকো এবং আওয়ামীলীগের দোসর
হেমায়েতকে একাধিক বার স্হানীয় জনগন অনুরোধ করার পরেও কারো
কথার তোয়াক্কা করে না।হেমায়েত তার
গুন্ডাবাহিনী দিয়ে স্হানীয় জনগণের উপর
প্রভাব বিস্তার করে।গত ১৩ মার্চ বালু খেকো হেমায়েতের বিরুদ্ধে ডিসি বরাবর
একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।এবং পরিবেশ অধিদপ্তর বরাবর অভিযোগ
দেওয়া হয়েছে।

এবিষয়ে বালু খেকো হেমায়েতকে মুঠো
ফোনে ফোন দিলে তিনি বলেন,এটি এরোন
মিয়া কিনেছে,আমি তাকে টাকা দেই আর
বালু কাটি অন্য এক প্রশ্নের জবাবে হেমায়েত বলেন,আমার ভুল হয়ে গেছে।

গত ১৮ মার্চ তারিখে লোহাগাড়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সরেজমিন প্রদর্শন শেষে থানা নির্বাহী অফিসারের কাছে একটি রিপোর্ট পেশ করেন।রিপোর্টটি সম্পর্কে থানা নির্বাহী আবু রিয়াজ বলেন,কোন জায়গা থেকে বালু কাটা যাবে সেটি আমরা নির্ধারন করে দিব।আর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,
বালু কাটা সম্পর্ন ভাবে বন্ধ করে দিব।
চলবে,,,,,,,


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *