শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:০১ অপরাহ্ন

শিরোনাম
সাধারণ শিক্ষার সাথে দ্বীনি শিক্ষার সমন্বয় করা না হলে মানুষ অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে যেতে পারে। ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ.ফ.ম. খালিদ হোসেন বলেছেন স্বার্থে পরিবেশ সংরক্ষণ ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় এখনই সর্বোচ্চ মনোযোগ দিতে হবে। – পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং টোবগে ঢাকায় পৌঁছেছেন খুলনা বিভাগের উন্নয়নচ্যালেঞ্জে বিশিষ্টজনদের ৫ দফা সুপারিশ মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আগামী ২৫ নভেম্বর ২০২৫ থেকে ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত ১৬ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ পালিত হবে। স্কুল শিক্ষার্থীদের নিয়ে হাইজিন ক্যাম্পেইন শুরু করলো লায়ন কল্লোল দ্য ওয়েস্টিন ঢাকা আয়োজন করছে “টেস্ট অফ অ্যারাবিয়া” – আরব বিশ্বের আসল স্বাদ ও সমৃদ্ধ রন্ধন ঐতিহ্যের এক অনন্য উৎসব প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপার্সনের সৌজন্য সাক্ষাৎ আলেমদেরকে রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হবে          -ধর্ম উপদেষ্টা সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ ২১ নভেম্বর ২০২৫

টেকসই জ্বালানির ভবিষ্যৎ ও বিকল্প জ্বালানি ব্যবস্থার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা সভা

মোঃ সিকান্দার আলী / ৮৪ পাঠক
প্রকাশকাল শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:০১ অপরাহ্ন

জ্বালানি খাতের স্থিতিশীলতা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে হাওর এরিয়া আপলিফটমেন্ট সোসাইটি (হাউস), উপকূলীয় জীবনযাত্রা ও পরিবেশ কর্মজোট (ক্লিন) এবং বিডাব্লিউজিইডি-এর যৌথ উদ্যোগে আজ সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে “বিকল্প জ্বালানি পরিকল্পনা বিষয়ক আলোচনা সভা”। আলোচনা সভায় জ্বালানি খাতের বিকল্প সম্ভাবনা, স্বল্প-মেয়াদি ও দীর্ঘ-মেয়াদি পরিকল্পনা এবং টেকসই জ্বালানি ব্যবস্থার ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
বিকল্প জ্বালানি পরিকল্পনা বিষয়ক মূল প্রবন্ধ যৌথভাবে উপস্থাপন করেন ক্লিন-এর প্রধান সমন্বয়কারী জনাব মাহবুব আলম প্রিন্স এবং প্রচারাভিযান সমন্বয়কারী সাদিয়া রওশন অধরা। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনের সময় সাদিয়া রওশন বলেন- ‘দেশের বার্ষিক বিদ্যুৎ চাহিদা প্রতি বছর ৬.৫ থেকে ৮.৩ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে, তবে ২০৩০ সালের মধ্যে এটি ৫ শতাংশ এবং ২০৪০ সালের মধ্যে ৪ শতাংশে-এ নেমে আসতে পারে। এই অনুসারে, বিদ্যুৎ চাহিদা ২০৩০ সালে ১২৮ টেরাওয়াট-ঘন্টা (TWh), ২০৪১ সালে ২৩১ টেরাওয়াট-ঘন্টা এবং ২০৫০ সালে ৩১৮ টেরাওয়াট-ঘন্টায় (TWh) পৌঁছাতে পারে।’
জনাব মাহবুব আলম উক্ত সভায় উল্লেখ করেন যে- ‘দেশের শিল্পখাতের ছাদ ব্যবহার করে ৫,০০০ মেগাওয়াট ছাদভিত্তিক সৌর বিদ্যুৎ স্থাপন করা সম্ভব, যা বছরে ৮,১০০ মিলিয়ন ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে। একইভাবে, আবাসিক ভবনের ছাদে ২৫,০০০ মেগাওয়াট ছাদভিত্তিক সৌর বিদ্যুৎ স্থাপন করে বছরে ৪৮,৬২০ মেগাওয়াট (MW) বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব। এই টেকসই ও দক্ষ জ্বালানি পরিকল্পনার কৌশলগত পরিবর্তন জীবাশ্ম জ্বালানির সম্প্রসারণকে কমিয়ে আনবে।’
তিনি আরও বলেন, ২০৩৫ সালের পর থেকে যখন বহু বিদ্যুৎকেন্দ্র অবসরে যাবে এবং দেশের উৎপাদন সক্ষমতা হ্রাস পেতে শুরু করবে, তখন আমাদের এগোনোর পথ কী হবে? সেই অনিশ্চিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি কি না, তা গভীরভাবে বিবেচনা করা প্রয়োজন।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মো: সাইফুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড, সিলেট, দিপক রঞ্জন দাস, নির্বাহী প্রকৌশলী, পানি উন্নয়ন বোর্ড, আবুল হোসেন, চেয়ারম্যান, সুনামগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি এবং নাজমুল ইসলাম, নির্বাহী পরিচালক, আইডিয়া। উক্ত অনুষ্ঠানে সভা-সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন সালেহীন চৌধুরী শুভ, নির্বাহী পরিচালক, হাওর এরিয়া আপলিফটমেন্ট সোসাইটি (হাউস)।
আলোচনা সভায় সম্মানিত বক্তারা বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের বিকল্প সম্ভাবনা, নবায়নযোগ্য শক্তির প্রসার এবং বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ নিয়ে মতবিনিময় করেন। তারা টেকসই ও পরিবেশবান্ধব জ্বালানি ব্যবস্থার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন এবং নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *