রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:৫২ অপরাহ্ন

শিরোনাম
লেখক-গবেষক, রাজনীতিক ও জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সভাপতি বদরুদ্দীন উমর এর মৃত্যুতে উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদের শোক প্রকাশ। পুলিশকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে হবে-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ঢাকা মহানগর উত্তর ৩১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শফিকুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে সিটিটিসি অসুস্থ জার্নালিজমকে সুস্থ ও সুন্দর করতে হবে—উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঝটিকা মিছিল আয়োজক এ টি এম ওমর ফারুকসহ অংশগ্রহণকারী ৯ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে ডিবি শিক্ষাজীবনকে একটি ব্রত হিসেবে তোমরা গ্রহণ কর – শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরার সাইবার স্পেসকে নারী ও শিশুদের জন্য নিরাপদ করতে তরুণদের সহযোগিতা দরকার- উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশীদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব — ধর্ম উপদেষ্টা স্বচ্ছ, পক্ষপাতিত্ব-স্বজনপ্রীতি মুক্ত ও মেধাভিত্তিক নিয়োগ হলে নিয়োগপ্রাপ্ত সবাই আমাদের ও দেশের সম্পদ হবে।”* -উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ কাকরাইলে মোবাইল কোর্ট অভিযান: কালোধোঁয়া নির্গমনে ৬টি মামলা, জরিমানা আদায়

সাংস্কৃতির অঙ্গনের অগ্রণী ব্যক্তিত্ব সানজিদা খাতুন এর মৃত্যুতে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের শোকবার্তা — উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ

মোঃ সিকান্দার আলী / ১০৭ পাঠক
প্রকাশকাল রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:৫২ অপরাহ্ন

বাংলাদেশের সাংস্কৃতির অঙ্গনের অগ্রণী ব্যক্তিত্ব সানজীদা খাতুন এর প্রয়াণে আমরা শোকাহত। গত ২৫ মার্চ ২০২৫ (মঙ্গলবার ) সাংস্কৃতিক ও শিক্ষার দেশীয় ধারার এই সাধক শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতীয়তাবাদের যে উন্মেষ ও বিকাশ, সানজীদা খাতুন ছিলেন সেই স্রোতধারার সাহসী সৈনিক। রবীন্দ্র জন্মশত বার্ষিকী পালনে তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের বাধাদান পরবর্তী সাংস্কৃতিক তৎপরতার অংশ হিসেবে ‘ছায়ানট’ গঠিত হলো, সানজীদা খাতুন তার সাথে যুক্ত হলেন। আবৃত্তি, অভিনয়, গানচর্চার পাশাপাশি থেকে সাংস্কৃতিক সংগ্রামের সাথে তার সম্পৃক্ততা ও সক্রিয়তার শুরু। দেশের শিল্পী, সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদদের অনেকেই যখন রাজনীতিতে সকলের অংশগ্রহণের বিষয়টিকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছিলেন, সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তে সানজীদা খাতুন সংগীত চর্চাকেই মূখ্য বলে গণ্য করেছেন। ১৯৬৭ সালের পহেলা বৈশাখের প্রথম অনুষ্ঠান রবীন্দ্রনাথের এসো হে বৈশাখ ‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো’ যখন দর্শকের কাছে উৎসবের আনন্দময় প্রকাশ হিসেবে গ্রহণযোগ্যতা পেল, গান ও সুরের প্রতি সানজীদা খাতুনের পক্ষপাত, সেদিন থেকে সাংস্কৃতিক উদযাপনে নতুন মাত্রা যোগ করল। উল্লেখ্য যে, ছায়ানট শুরুতে পল্লীগীতি ও গণসংগীতকেও জনপ্রিয় করে তোলার তাগিদে নানামুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। নজরুলের কবিতা ও গান সেই সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অভিচ্ছেদ্য অংশ ছিল। ছায়ানটের একজন সংগঠক হিসেবে সানজীদা খাতুন এক পর্যায়ে দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে সঞ্জীবিত করবার পাশাপাশি শিক্ষাঙ্গনে মানবিক চেতনার বিকাশের কথা ভাবতে শুরু করেন । তাঁর উদ্যোগ যে বিদ্যায়তনের জন্ম হয়, তার পেছনে রবীন্দ্রনাথের শিক্ষা বিষয়ক চিন্তা যেমন অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে, তেমনই জার্মান স্পিরিচুয়ালিস্ট রুডল্ফ স্টেইনারের শিশুশিক্ষা ও শিশুর বিকাশ সংক্রান্ত ভাবনা অনায়াসে যুক্ত হয়েছে। তার নাম আমাদের সংস্কৃতির একটি বিশেষ অধ্যায়ের সাথে সম্পর্কিত। একাত্তরের সাংস্কৃতিক প্রস্তুতি পর্বে এবং স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে সংগীতের বিকাশ, এই দুই পর্বের তিনি মহীরুহ।
তাঁর মৃত্যুতে জাতির যে অপূরণীয় ক্ষতি, তার প্রেক্ষিতেই তাঁর অবদানের মূল্যায়নের শুরু হতে হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *