বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫, ০১:০০ অপরাহ্ন
ফলো করুন
ইতিহাদ স্টেডিয়ামের বাইরে প্ল্যাকার্ড হাতে এক ফুটবলপ্রেমী। ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিশ্বের অনেক জায়গাতেই একাট্টা হয়েছেন সাধারণ মানুষ
ইতিহাদ স্টেডিয়ামের বাইরে প্ল্যাকার্ড হাতে এক ফুটবলপ্রেমী। ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিশ্বের অনেক জায়গাতেই একাট্টা হয়েছেন সাধারণ মানুষরয়টার্স
গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় পুনরায় আগ্রাসন শুরু করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যনুযায়ী, এর পর থেকে ১ হাজার ৩৩০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছেন। আর গত ১৭ মাসের বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ৫০ হাজার ৫২৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হন এবং আহত ১ লাখ ১৪ হাজার ৬৩৮ জন। এই সামরিক হামলা ও ফিলিস্তিনের ভূখণ্ডে ইসরায়েলের কিছু ক্লাবের অবস্থানের কারণে গত বছর মে মাসেই দেশটিকে আন্তর্জাতিক ফুটবলে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছিল ফিলিস্তিন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। ফিফা গত অক্টোবরে জানায়, এই বিষয়ে তদন্ত করা হবে। এর আগে ২০১৭ সালেও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠলে ফিফা জানিয়েছিল ‘রাজনীতি ও ধর্মীয় বিষয়ে নিরপেক্ষ থাকবে।’ যদিও সাধারণের দৃষ্টিভঙ্গি হলো, রাজনৈতিক কারণেই ফিফা ইসরায়েলকে নিষিদ্ধ করে না। এ নিয়ে গত মাসে যুক্তরাজ্যকেন্দ্রিক ওয়েবসাইট ‘মিডল ইস্ট আই’তে ‘ফিফা কেন ইসরায়েলকে শাস্তি দেয় না’—শিরোনামে প্রতিবেদন লেখেন স্কটিশ লেখক, জলবায়ুকর্মী কোল ম্যাককাইল। লেখাটি বাংলায় তুলে ধরা হলো—
১৯৭৬ সালের মার্চ মাস। যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ধনে আর্জেন্টিনায় সামরিক জান্তার ক্যুতে উৎখাত হলো ইসাবেল পেরন সরকার। দুই দিন পর ফিফা সভাপতি বললেন, ১৯৭৮ বিশ্বকাপ আয়োজনে আর্জেন্টিনা ‘এখন আগের চেয়েও বেশি প্রস্তুত’।
হোর্হে রাফায়েল ভিদেলার সেই স্বৈরশাসনে প্রায় এক দশক রক্তপাত চলে আর্জেন্টিনায়। ‘নিখোঁজ’ হন প্রায় ৩০ হাজার মানুষ। কিন্তু ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির হর্তাকর্তারা এতে গা করেননি। ১৯৭৮ বিশ্বকাপ শেষে টুর্নামেন্টটির আয়োজকদের অন্যতম আর্জেন্টিনা নৌবাহিনীর ভাইস অ্যাডমিরাল কার্লোস লাকোস্তেকে সহসভাপতি বানায় ফিফা।
চলতি মাসের (মার্চ) শেষ দিকে ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব শুরু করবে (হয়ে গেছে) ইসরায়েল। প্রতিযোগিতাটি থেকে ইসরায়েলকে নিষিদ্ধ করার আহ্বান প্রতিহত করার ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে ফিফা। সাম্রাজ্যবাদের হাতিয়ার হিসেবে দেশটির ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (আইএফএ) অন্ধকার ইতিহাস আছে।