শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:৫৪ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম
খুলনা বিভাগের উন্নয়নচ্যালেঞ্জে বিশিষ্টজনদের ৫ দফা সুপারিশ মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আগামী ২৫ নভেম্বর ২০২৫ থেকে ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত ১৬ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ পালিত হবে। স্কুল শিক্ষার্থীদের নিয়ে হাইজিন ক্যাম্পেইন শুরু করলো লায়ন কল্লোল দ্য ওয়েস্টিন ঢাকা আয়োজন করছে “টেস্ট অফ অ্যারাবিয়া” – আরব বিশ্বের আসল স্বাদ ও সমৃদ্ধ রন্ধন ঐতিহ্যের এক অনন্য উৎসব প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপার্সনের সৌজন্য সাক্ষাৎ আলেমদেরকে রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হবে          -ধর্ম উপদেষ্টা সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ ২১ নভেম্বর ২০২৫ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে প্রধান উপদেষ্টার শোকবার্তা রক্তচোষা গ্রুপের মূলহোতা মোঃ জনি ওরফে রক্তচোষা জনি (৩২) কে দেশীয় অস্ত্র সামুরাইসহ গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-২

মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে। – স্বাস্থ্য উপদেষ্টা।

আলী আহসান রবি - স্টাফ রিপোর্টার / ১১৬ পাঠক
প্রকাশকাল শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:৫৪ পূর্বাহ্ন

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেছেন, মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি-সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমরা আমাদের মা ও শিশুদের জন্য একটি উজ্জ্বল ও সুস্থ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে পারব।

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস ২০২৫ উদ্‌যাপন উপলক্ষে আজ ২০ এপ্রিল ২০২৫/৭ বৈশাখ ১৪৩২, রবিবার সকালে ঢাকাস্থ ‘ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে’ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম একথা বলেন।

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা আরো বলেন, একটি শিশুর জন্ম শুধু একটি পরিবারের নয়, পুরো জাতির ভবিষ্যতের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। জন্মের সময় এবং নবজাতক স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারলেই আমরা শিশুর সুস্থতা ও বিকাশ নিশ্চিত করতে পারব। এ জন্য সরকার গর্ভকালীন সেবা, নিরাপদ প্রসব, নবজাতকের যত্ন এবং মা ও শিশুর পুষ্টি নিশ্চিতকরণে কাজ করে যাচ্ছে। তবে কেবল সরকার নয়-এই লক্ষ্য অর্জনে জনসচেতনতা, পরিবার ও সমাজের সক্রিয় অংশগ্রহণ, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের নিরলস প্রচেষ্টা এবং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন সবগুলোই গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপদ জন্মের জন্য আমাদের প্রত্যেককে এগিয়ে আসতে হবে, গর্ভবতী মায়েদের যথাযথ যত্ন নিতে হবে এবং স্বাস্থ্য সেবাকে আরও সহজলভ্য ও সমন্বিত করতে হবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল “Healthy beginnings, hopeful futures” “জন্ম হোক সুরক্ষিত, ভবিষ্যৎ হোক আলোকিত”।

২০৩০ সালের মধ্যে মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যুর হার সর্বনিম্ন পর্যায়ে নিয়ে আনতে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার উপর জোর দিয়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা আরো বলেন, গর্ভকালীন ও প্রসব-পরবর্তী সঠিক যত্ন নিশ্চিত করা, প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারীর মাধ্যমে প্রসব করানো, প্রাতিষ্ঠানিক প্রসব সুবিধা সম্প্রসারণ, শিশুর পুষ্টি নিশ্চিত করণ, টিকাদান ও স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রচার বাড়ানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা আরো বলেন, মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য নিশ্চিতে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, দেশি-বিদেশি সংস্থা ও বেসরকারি স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান নিরলস ভাবে কাজ করছে। আমি আজকের এই দিনে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এবং ভবিষ্যতে সকলের কার্যক্রম আরও জোরদার হবে-এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি।

আমি বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উদ্‌যাপনের সাথে জড়িত সকল মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর ও সরকারি-বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। জনগণের স্বাস্থ্য রক্ষা ও উন্নয়নে সকল সেক্টর, বিভাগ, সাংবাদিক, দেশি ও বিদেশি সংস্থা, সিভিল সোসাইটি, এবং সমাজের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গকে এগিয়ে এসে সরকারকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানাচ্ছি।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান, মাননীয় বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা), স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব ডা. মো: সারোয়ার বারী । সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশস্থ প্রতিনিধি ডা. আহমেদ জামশেদ মোহাম্মদ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *