বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:১০ অপরাহ্ন

শিরোনাম
মহেশখালী- মাতারবাড়ীতে নতুন শহরের জন্ম হবে : প্রধান উপদেষ্টা সামুদ্রিক সম্পদ রক্ষায় বৈশ্বিক অংশীদারিত্বের আহ্বান পরিবেশ উপদেষ্টার বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা দ্বিতীয়বারের মতো স্থাপত্যের জন্য আগা খান পুরস্কার লাভের জন্য স্থপতি মেরিনা তাবাসসুমকে অভিনন্দন জানিয়েছেন চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নয়নে এআই বিশেষ অবদান রাখতে সক্ষম বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ৫০ জনকে গ্রেফতার করেছে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ নিরাপত্তা ছাড়পত্র বিডা ওএসএস এর মাধ্যমে পুরোপুরি ডিজিটাল হচ্ছে নুরুল হক নূরের সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার নৌপরিবহন উপদেষ্টার সাথে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ শব্দ ও বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে দেশজুড়ে অভিযান, ৪৪৪০ কেজি নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন জব্দ সমুদ্রে আমাদের সম্পদ এখনো অজানা – মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার

সেনাবাহিনী রাজনীতিতে নাক গলাতে পারবে না: প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী

মোঃ সিকান্দার আলী / ৬৬ পাঠক
প্রকাশকাল বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:১০ অপরাহ্ন

সেনাবাহিনী রাজনীতিতে নাক গলাতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি বলেন, ‘আজকের দুনিয়ায় শুক্রবার (২৩ মে) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এসব কথা বলেন তিনি।

ফয়েজ তৈয়্যব বলেন, ‘সেনাবাহিনীকে প্রাপ্য সম্মান দেখাতে হবে, আস্থায় রাখতে হবে। তবে এই প্রশ্নে হুট করে কিছু করা যাবে না, হঠকারী কিছু করা যাবে না। তেমনি, ইনক্লুসিভনেসের নামে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনও চাওয়া যাবে না।’

তিনি বলেন, ‘সেনাপ্রধান ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চেয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা তার এখতিয়ার লঙ্ঘন। জুরিশডিকশনাল কারেক্টনেস তিনি রক্ষা করতে পারেননি।’কোনো সভ্য দেশের সেনাবাহিনী রাজনীতি করে না।’স্ট্যাটাসে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগ করছেন না। তার ক্ষমতার দরকার নেই, কিন্তু একটি শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক ট্রানজিশনের জন্য তাকে প্রয়োজন।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের ফেসবুক স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো:“প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করবেন না।

অধ্যাপক ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের ক্ষমতা প্রয়োজন নেই, কিন্তু বাংলাদেশের জন্য, বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশনের জন্য ড. ইউনূস স্যারের দরকার আছে।

বরং ক্যাবিনেটকে আরও গতিশীল হতে হবে। সরকারকে আরও বেশি ফাংশনাল হতে হবে, উপদেষ্টাদের আরও বেশি কাজ করতে হবে, দৃশ্যমান অগ্রগতি জনতার সামনে উপস্থাপন করতে হবে-এ ব্যাপারে কোনো দ্বিমত থাকতে পারে না। আমাদের দেখাতে হবে যে, গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তীতে জনতার সম্মতিতে ক্ষমতায় এসে প্রফেসর সাফল্য দেখিয়েছেন।

বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর সম্মান আছে, এটা রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব।

আমি মনে করি, সরকারকে এখন থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আরও নিবিড়ভাবে আলোচনায় বসতে হবে, নিয়মিত বসে এবং বিভিন্ন বিষয়ে তাদের মতামত চাইতে হবে। কোনো ধরনের বিচ্ছিন্নতা কাম্য নয়।

পাশাপাশি সেনাবাহিনীও রাজনীতিতে নাক গলাতে পারবে না। আজকের দুনিয়ায় কোনো সভ্য দেশের সেনাবাহিনী রাজনীতি করে না। তাই ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের বক্তব্যে সেনাপ্রধান জুরিশডিকশনাল কারেক্টনেস রক্ষা করতে পারেননি। তবে সেনাবাহিনীকে প্রাপ্য সম্মান দেখাতে হবে, আস্থায় রাখতে হবে। সেনাবাহিনী প্রশ্নে হুট করে কিছু করা যাবে না, হঠকারী কিছু করা যাবে না। তেমনি, ইনক্লুসিভনেসের নাম করেআওয়ামী লীগের পুনর্বাসনও চাওয়া যাবে না। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আমাদের গর্ব এবং আস্থার জায়গা-সেটা কেউ ভঙ্গ করবে না।

সকল দরকারি প্রস্তুতি শেষ করে নির্বাচন এপ্রিল-মে’র মধ্যেই অনুষ্ঠিত হবে বলেই আশা করি। এ সময়ে সকল যৌক্তিক সংস্কার সম্পন্ন করতে হবে, করতে হবে জুলাই সনদ।

জুলাই-আগস্ট’ ২৫ এ আমরা জাতীয়ভাবে দুই মাস জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তির উদ্‌যাপন করব, ইনশা আল্লাহ। এবং আগস্টের মধ্যেই স্বৈরাচারী খুনি হাসিনার বিচারের প্রথম রায়টি আলোর মুখ দেখতে পাবে বলেও আশা প্রকাশ করি।
ইনকিলাব জিন্দাবাদ।

প্রফেসর ইউনূস জিন্দাবাদ।

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।”
ইনশা আল্লাহ আমরা হারব না, আমাদের হারানো যাবে না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *