শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:১৯ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম
গোপালগঞ্জ যুবলীগ নেতা ফিরোজ মাহমুদকে গ্রেফতার করেছে খিলগাঁও থানা পুলিশ ৬০০০ পিস ইয়াবাসহ দুই পেশাদার মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক অনুষ্ঠিত কাঠমান্ডুতে বাংলাদেশ দূতাবাস নেপালে থাকা সকল বাংলাদেশি নিরাপদে আছেন বিআইডব্লিউটিএ এর কর্মকর্তাদের উৎকোচ গ্রহণের অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় বিএফআইডিসির আধুনিকায়ন ও রপ্তানি সম্ভাবনা উন্মোচনে পরিবেশ উপদেষ্টা ও ইউএনসিডিএফ-এর বৈঠক রূপপুর গ্রীণসিটি প্রকল্পে অস্বাভাবিক ব্যয়ের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় আরো দুই উপ-সহকারী প্রকৌশলীকে বাধ্যতামূলক অবসর ও একজনকে নিম্নবেতন গ্রেডে অবনমিতকরণ গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে ৫০০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার, গ্রেফতার তিন নেপাল থেকে বিশেষ ফ্লাইটে দেশের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে জাতীয় ফুটবল দল আওয়ামী সরকারের আমলে স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতির হোতা মোতাজ্জরুল ইসলাম মিঠুকে গ্রেফতার করেছে (ডিবি)

প্রধান উপদেষ্টার জাপান সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে কথা বলেন ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব।

মোঃ সিকান্দার আলী / ৪১ পাঠক
প্রকাশকাল শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:১৯ পূর্বাহ্ন

আপনারা হয়ত অবগত আছেন যে, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী ১০ থেকে ১৩ জুন ২০২৫ তারিখে যুক্তরাজ্যে একটি দ্বিপাক্ষিক সরকারি সফরে যাচ্ছেন। সফরটি উপলক্ষ্যে তিনি আগামী ৯ জুন ২০২৫ তারিখে লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন এবং সফর শেষে আগামী ১৪ জুন ২০২৫ তারিখে ঢাকায় প্রত্যাবর্তন করবেন।

আপনারা জানেন, য ক্তরাজ্য বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতিম একটি দেশ। দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং কৌশলগত সম্পর্ক রয়েছে।

যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর প্রথম দিকের দেশগুলোর মধ্যে একটি, যারা বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল। বর্তমানে দেশটিতে প্রায় আট লক্ষ প্রবাসী বাংলাদেশী বসবাস করছে, যারা বাংলাদেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে যাচ্ছে। তাছাড়া, দেশটি বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের জন্যও উচ্চশিক্ষার একটি পছন্দের গন্তব্য হিসেবে পরিগণিত হয়ে আসছে।

অন্যদিকে, যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ বাণিজ্য অংশীদার এবং বিনিয়োগকারী দেশ। যুক্তরাজ্য দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক খাতে বাংলাদেশকে নিয়মিতভাবে সহায়তা করে যাচ্ছে।

তাছাড়া, কমনওয়েলথভুক্ত দেশ হিসেবে যুক্তরাজ্য বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশের সাথে একযোগে কাজ করে আসছে। রোহিঙ্গা সংকট, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবেলা এবং সন্ত্রাসবাদ দমনের মতো বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক ইস্যুতে যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায়ও যুক্তরাজ্যের সমর্থন বাংলাদেশের জন্য সব সময়ই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে।

এসকল বিষয়াদি বিবেচনায় এই সফরটি বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় ও ফলপ্রসূ করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হয়ে থাকবে বলে আশা করছি।

তবে, এগুলোর বাইরেও আরো কয়েকটি কারণে সফরটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে।

প্রথমতঃ, বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা প্রথমবারের মতো ইউরোপের কোন দেশে দ্বিপাক্ষিক সফরে যাচ্ছেন।

দ্বিতীয়তঃ, যুক্তরাজ্য একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র এবং তারা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে গণতান্ত্রাক মূল্যবোধ ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় গুরুত্ব দেয়। এই সফরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে চলমান সংস্কার কার্যক্রম, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অঙ্গীকারের বিষয়টি তুলে ধরা সম্ভব হবে।

এবং সর্বোপরি একজন নোবেল বিজয়ী ও বিশ্ববরেণ্য ব্যক্তি হিসেবে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার বিশ্বজুড়ে একটি স্বতন্ত্র ও ইতিবাচক ভাবমূর্তি রয়েছে। তাঁর মতো একজন ব্যক্তিত্বের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে যুক্তরাজ্য সফর বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের অবস্থানকে আরও সমুজ্জ্বল ও সুসংহত করবে।

আলোচ্য সফরে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা যুক্তরাজ্যের রাজা তৃতীয় চার্লসের সাথে সাক্ষাৎ (audience) করবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। আপনারা জানেন, আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে যুক্তরাজ্যের রাজার অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফলে, রাজা চার্লসের সাথে সাক্ষাতের বিষয়টি একটি সম্মানজনক কূটনৈতিক সুযোগ হিসেবে দেখা যেতে পারে।

সফরকালে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ের স্টারমার-এর সাথে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া, যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ ও উন্নয়ন বিষয়ক সেক্রেটারি অফ স্টেট জনাব ডেভিড ল্যামি, কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী, রাজনৈতিক নে্যুন্দ ও থিংক ট্যাঙ্কের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ মাননীয় উপদেষ্টার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে পারেন বলে আশা করা যাচ্ছে।

আপনারা জানেন যে, ব্রেক্সিটের পর যুক্তরাজ্যের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কের নতুন দিক উন্মোচন হয়েছে। উক্ত বৈঠকগুলোতেও বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা হবে। বিশেষ করে, যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি পণ্যের বাজার সম্প্রসারণ, জিএসপি প্লাস প্রাপ্তি, নতুন ব্রিটিশ বিনিয়োগ আকর্ষণ এবং যৌথ উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরো গতিশীল করার ক্ষেত্রে এই সফর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা রাখছি। তাছাড়া, শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিনিময়, তথ্য-প্রযুক্তি, সামাজিক উদ্ভাবন, মানবাধিকার, অভিবাসন, জ্বালানি ও নিরাপত্তা সহযোগিতাসহ বিভিন্ন খাতে সয়াহতা বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হবার কথা রয়েছে।

একই সাথে এই সফরে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক

সহযোগিতা গভীরতর করা। সহায়তা ও প্রযুক্ত…


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *