শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:৪৩ অপরাহ্ন
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ (সংশোধিত ২০১৮) অনুযায়ী কোম্পানির বাৎসরিক লভ্যাংশের ০.৫% হারে ওয়াল্টন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ, পিএলসি কর্তৃক বাৎসরিক লভ্যাংশের ৬ কোটি ১২ লক্ষ ১০ হাজার ৩৭৮ টাকা এবং বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেড কর্তৃক ৪ কোটি ৯৭ লক্ষ টাকার চেক হস্তান্তর করেন। এ টাকা শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যান ফাউন্ডেশনের তহবিলে জমা হবে।
উপদেষ্টা আজ বুধবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, শ্রম আইন ২০০৬ এর “২৩২ ধারার উপধারা-১ মোতাবেক শর্ত পূরণ করে এমন কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠানের হিসাব বৎসরের শেষ দিনে উহার পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ অন্যূন এক কোটি টাকা এবং কোন হিসাব বৎসরের শেষ দিনে উহার স্থায়ী সম্পদের মূল্য অন্যূন দুই কোটি টাকা হলে কোম্পানির মুনাফায় শ্রমিক অংশগ্রহণ করবে।
“২৩৪ ধারার উপধারা-১ এ অনুযায়ী প্রত্যেক কোম্পানী-এর মালিক প্রত্যেক বৎসর শেষ হইবার অন্যূন নয় মাসের মধ্যে, পূর্ববর্তী বৎসরের নীট মুনাফার পাঁচ শতাংশ (৫%) অর্থ যথাক্রমে অংশগ্রহণ, কল্যাণ তহবিল এবং বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন, ২০০৬ এর ধারা ১৪-এর অধীন স্থাপিত শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে প্রদান করিবে।” আইনের ২৩৬ ধারা মোতাবেক যথা সময়ে কোনো কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান অর্থ প্রদান না করিলে জরিমানাসহ অর্থ আদায় করা হবে।
উপদেষ্টা আরও বলেন শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলের অর্থ মৃত শ্রমিকদের অনুদান, ছাত্র বৃত্তি এবং শ্রমিকদের জরুরি চিকিৎসায় খরচ করা হবে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, শ্রমিক কল্যান ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক, ওয়াল্টন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ, পিএলসি ও বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেড এর প্রতিনিধিবৃন্দ এবং বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার গণমাধ্যমকর্মী উপস্থিত ছিলো।