বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:৩১ পূর্বাহ্ন
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আইএলও, ইউনিসেফ, এডুকো, ওয়ার্ল্ডভিশন ও সেভ দা চিলড্রেনসহ বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সমন্বয়ে বাংলাদেশে প্রতিবছর ১২ জুন ‘বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস’ পালন করা হয়ে থাকে। এ বছর ১২ জুন ২০২৫ সরকারি ছুটি থাকায় বাংলাদেশে দিবসটি ১৯ জুন ২০২৫ তারিখে উদ্যাপন করা হবে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য হল “স্বপ্নের ডানায় ভর করি, শিশুশ্রমের শৃঙ্খল ছিঁড়ি- এগিয়ে চলি দৃপ্ত পায়ে, আশার আগুন বুকে জ্বালি।”
বাংলাদেশ সরকার ২০২৫ সালের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণসহ সকল ধরনের শিশুশ্রম নিরসনে অঙ্গীকারবদ্ধ।
ইতোমধ্যে সরকার আইএলও কনভেনশন ১৩৮ ও ১৮২ অনুসমর্থন এবং শিশুশ্রম নিরসনে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ২০২১-২০২৫ প্রণয়নসহ বিভিন্ন নীতিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস ২০২৫ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে নিম্নবর্ণিত কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে।
> শিশুশ্রম প্রতিরোধ বিষয়ে বিভিন্ন সচেতনতামূলক পোস্টার মুদ্রণ এবং বিতরণ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে।
> বিটিভি, এটিএন বাংলা, এটিএন নিউজ, চ্যানেল আই, ডিবিসি টেলিভিশন, বৈশাখী টেলিভিশন, একুশে টেলিভিশন ও নিউজ২৪সহ বিভিন্ন চ্যানেলে টকশো আয়োজন করা হয়েছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে আলোচনা সভা, র্যালি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনে সহযোগিতা করার জন্য জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
> বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস ২০২৫ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে দিবসটির এবারের বাংলা স্লোগান ক্ষুদেবার্তা আকারে বিটিআরসির মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।
> টিভিসি ও ডকুমেন্টারি বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।
> বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী জাতীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বিশ্ব শিশুশ্রম দিবস ২০২৫ উপলক্ষ্যে সচেতনতা বিষয়ক কর্মসূচি আয়োজন করা হবে।
> শ্রম বিষয়ক যে কোন সমস্যা সংক্রান্ত যোগাযোগের হটলাইন নাম্বার-১৬৩৫৭ চালু রয়েছে।
> আগামী শনিবার বিএফডিসিতে বিতর্ক সভা আয়োজন করা হয়েছে।
বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস ২০২৫ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়ায় বিশেষ বিজ্ঞাপন প্রচার করা হবে।
> বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস ২০২৫ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে বিশেষ প্রতিবেদন প্রচার করা হবে।
> দিবসটি সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে উদ্যাপনের লক্ষ্যে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর এবং শ্রম অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কার্যালয়সমূহের পাশাপাশি উন্নয়ন সহযোগী, এনজিও ও অন্যান্য সংস্থাসমূহ তাদের স্থানীয় অফিসের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন কর্মসূচি আয়োজন করবে।
এছাড়া সচেতনতা ও অংশীদারিত্বই শিশুশ্রম নিরসনের মূল চাবিকাঠি। পরিবার, কারখানা মালিক, শ্রমিক সংগঠন, এনজিও, গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের একত্রিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে শিশুশ্রমকে একটি সামাজিক আন্দোলনে রূপ দান করা সম্ভব।
এসময় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, শ্রম অধিদপ্তর এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর এর কর্মকর্তাবৃন্দসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।