সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:১১ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম
সরকার কৃষক ও ভোক্তা উভয়ের স্বার্থ সংরক্ষণের চেষ্টা করছে – স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা নির্বাচন ও গণভোটের প্রস্তুতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করলেন সিইসি বাণিজ্য উপদেষ্টার সাথে থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত এর বৈঠক খাদ্যদূষণ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার উদ্বেগ, সংকট মোকাবিলায় সকলকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান বায়তুল মুকাররম মসজিদে ইবাদতবান্ধব ধর্মীয় আবহ তৈরি হয়েছে- ধর্ম উপদেষ্টা বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত জুলাই আন্দোলনের শহীদ ১১ স্কাউটের আত্মত্যাগে নতুন বাংলাদেশ নির্মাণের প্রেরণা খুঁজে পাই — শিক্ষা উপদেষ্টা ড. সি. আর. আবরার জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় নারী উদ্যোক্তাদের জন্য অতিরিক্ত অর্থায়ন প্রয়োজন -মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বন্যপ্রাণী রক্ষায় নতুন প্রজন্মের অগ্রণী ভূমিকা অনস্বীকার্য – উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বাংলাদেশ মিশন আদ্দিস আবাবায় ই-পাসপোর্ট সেবা কার্যক্রম এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে।

আমাদের ফলের গুণগত মান ও স্বাদ বিদেশি ফলের থেকেও বেশি। কৃষি উপদেষ্টা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী

আলী আহসান রবি / ১৭৩ পাঠক
প্রকাশকাল সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:১১ পূর্বাহ্ন

কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, জনগণের পুষ্টি চাহিদা পূরণে দেশীয় ফলের উৎপাদন বাড়াতে হবে।

উপদেষ্টা আজ রাজধানীর রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন (কেআইবি) চত্বরে জাতীয় ফলজ মেলা ২০২৫ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, ৬৪ জেলায় এই মেলা হবে, উপজেলায়ও মেলা হবে। এর উদ্দেশ্য হলো দেশীয় ফল সবার কাছে পরিচিত করা। অনেকেই দেশি ফল চেনেন না। তারা আঙুর, আপেলের মতো বিদেশি ফল খান। অথচ আমাদের ফলের গুণগত মান ও স্বাদ বিদেশি ফলের থেকেও বেশি।
দেশবাসীকে দেশী ফল খাওয়ার আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, দেশী ফল খেলে বৈদেশিক মুদ্রাও সাশ্রয় হবে। আমরা বিদেশে প্রচুর দেশী ফল পাঠাচ্ছি। যার মধ্যে রয়েছে আম, কাঁঠাল, পেয়ারা। চীনে নতুনভাবে আম পাঠানো শুরু হয়েছে। রপ্তানি বাড়লে কৃষকরা উপকৃত হবেন।
মেলা উপলক্ষ্যে খামারবাড়িস্থ বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের অডিটরিয়ামে ‘‘স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও বাণিজ্যিকীকরণে দেশী ফল: বর্তমান প্রেক্ষিত, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা” শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা বলেন, দেশীয় ফল উৎপাদনে প্রত্যাশিত অগ্রগতিতেও বিদেশি ফল আমদানি করতে হচ্ছে। প্রতি বছর দেশে প্রায় সাড়ে ৮ লাখ টন ফল আমদানি করতে ১০ হাজার কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা চলে যায়। আমদানিকৃত ফলের প্রায় ৮৫ শতাংশই আপেল, কমলা, মাল্টা ও আঙুরের দখলে। তবে আশার কথা, দেশেও সীমিত পরিসরে কমলা ও মাল্টার চাষ হচ্ছে যা ক্রমান্বয়ে ফল আমদানি নির্ভরতা কমাবে।
উপদেষ্টা সমন্বিতভাবে টেকসই নিরাপদ ও পুষ্টিগুণ-সম্পন্ন খাদ্যে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সবাইকে কাজ করার আহবান জানিয়ে বলেন, আসুন আমরা সকলে এই বছর অন্তত একটি করে ফলদ গাছ লাগাই এবং প্রতিদিন ন্যুনতম একটি করে ফল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলি।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান।
এর আগে উপদেষ্টা তিন দিনব্যাপী জাতীয় ফলজ মেলার উদ্বোধন করেন।
উল্লেখ্য, রাজধানীসহ দেশের ৬৪ জেলার ৪৩১ উপজেলায় এ ফল মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। জাতীয় ফল মেলার এবারের প্রতিপাদ্য- ‘দেশি ফল বেশি খাই, আসুন ফলের গাছ লাগাই’।

প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এ মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত। ফল মেলায় আগত দর্শনার্থীরা ফল চাষের বিভিন্ন প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে ও রাসায়নিকমুক্ত বিভিন্ন জাতের ফল কিনতে পারছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *