শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:২৯ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম
খুলনা বিভাগের উন্নয়নচ্যালেঞ্জে বিশিষ্টজনদের ৫ দফা সুপারিশ মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আগামী ২৫ নভেম্বর ২০২৫ থেকে ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত ১৬ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ পালিত হবে। স্কুল শিক্ষার্থীদের নিয়ে হাইজিন ক্যাম্পেইন শুরু করলো লায়ন কল্লোল দ্য ওয়েস্টিন ঢাকা আয়োজন করছে “টেস্ট অফ অ্যারাবিয়া” – আরব বিশ্বের আসল স্বাদ ও সমৃদ্ধ রন্ধন ঐতিহ্যের এক অনন্য উৎসব প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপার্সনের সৌজন্য সাক্ষাৎ আলেমদেরকে রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হবে          -ধর্ম উপদেষ্টা সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ ২১ নভেম্বর ২০২৫ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে প্রধান উপদেষ্টার শোকবার্তা রক্তচোষা গ্রুপের মূলহোতা মোঃ জনি ওরফে রক্তচোষা জনি (৩২) কে দেশীয় অস্ত্র সামুরাইসহ গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-২

শাকিল ও ফারজানা রুপাকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে জাতিসংঘকে সরকারের ব্যাখ্যা

মোঃ সিকান্দার আলী / ৮১ পাঠক
প্রকাশকাল শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:২৯ পূর্বাহ্ন

সাংবাদিক দম্পতি ফারজানা রুপা ও শাকিল আহমেদকে আটকের বিষয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনকে ব্যাখ্যা দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে গত ২ জুলাই এক চিঠিতে জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়।
এ চিঠিতে বলা হয়, ফারজানা রুপা ও শাকিল আহমেদ একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে কর্মরত ছিলেন। গত ৮ আগস্ট তাদের চাকরিচ্যুত করে টিভি কর্তৃপক্ষ।

চাকরিচ্যুতির জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তারিখটি বেছে নেওয়া হয়; কারণ, গত ৫ আগস্ট পূর্ববর্তী সরকারের পতনের পর সেদিন অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্বভার গ্রহণ করে। যদিও তাদের চাকরিচ্যুতির ক্ষেত্রে সরকার কোনোভাবেই যুক্ত ছিল না। আর উক্ত দম্পতি চাকরিচ্যুতির বিষয়ে কোনো অভিযোগও করেননি। চিঠিতে আরও বলা হয়, ফারজানা রুপা ও শাকিল আহমেদসহ একদল লোকের বিরুদ্ধে গত বছর গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত একটি হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে নিহত ব্যক্তির ভাই গত ২১ আগস্ট ঢাকার উত্তরা থানায় একটি মামলা করেন। এরপর বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়ার সময় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের আদালতে নেওয়া হলে পুলিশের আবেদনক্রমে আদালত জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতের নির্দেশে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

চিঠিতে বলা হয়, নিজেদের আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ, স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও প্রয়োজনে চিকিৎসাসহ কারাবিধি অনুযায়ী প্রাপ্য সব সুবিধা তারা পাচ্ছেন। ফারজানা রুপার মা মারা যাওয়ার পর তাকে শেষবার দেখার জন্য অংশ নিতে তাদের প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়। গত জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থানের সময় মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগেও ফারজানা রুপা ও শাকিল আহমেদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা আছে। এ ক্ষেত্রে আইনজীবী নিয়োগসহ উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী যেসব সুবিধা পাওয়ার কথা, তারা তা পাবেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *