বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:৪০ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম
তরুণ প্রজন্মের মানসিক স্বাস্থ্যকে জনগনের হীনমন্যতার বাইরে আনতে হবে –উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ কক্সবাজারের উখিয়ায় বিজিবির মাদকবিরোধী অভিযানে ২ লাখ ৮০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার উৎকোচ গ্রহণের অভিযোগে বিআইডব্লিউটিএ এর ২ জন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত ‘স্কিল গ্যাপ’ গোছাতে ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি (IFT) প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এবং বুয়েটের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সাথে ইউরোপীয় কমিশনের অভিবাসন ও আশ্রয় বিষয়ক পরিচালক মিশেল শটার(Michael Shotter) এর সৌজন্য সাক্ষাৎ সুদমুক্ত ঋণ আদায়ে সরকার কঠোর আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহন করবে: শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে জাতীয় প্রশিক্ষণ কাউন্সিলের নবম সভা অনুষ্ঠিত পলিথিন, বায়ু ও শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে জরিমানা ও জব্দ পালিয়ে যাওয়া ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগী ডাকসু নির্বাচন শীর্ষ তিন পদে জয়জয়কার শিবিরের

তাৎক্ষণিক চিকিৎসা ও রক্তের প্রয়োজন মেটাতে সর্বোচ্চ প্রস্তুত বার্ন ইনস্টিটিউটে

মোঃ সিকান্দার আলী / ১২০ পাঠক
প্রকাশকাল বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:৪০ পূর্বাহ্ন

উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটসহ সংশ্লিষ্ট হাসপাতালগুলোতে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্যবিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান। সোমবার রাত ৮টা ৩০ মিনিটে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি এই তথ্য জানান।

তিনি বলেন, “হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় আমরা এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে ১৭ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করছি। তারা সবাই শিশু। এদের মধ্যে ৭ জনের মরদেহ এতটাই পুড়ে গেছে যে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তাদের ডিএনএ সংগ্রহ করা হচ্ছে, পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।”

বর্তমানে দেশের সাতটি হাসপাতালে রোগীরা চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শুরুতে আহতরা উত্তরার কয়েকটি হাসপাতালে ভর্তি হলেও এখন মূলত জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউট ও সিএমএইচ-এ রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। বার্ন ইনস্টিটিউটে বর্তমানে ভর্তি আছেন ৪৪ জন, এবং এর মধ্যে ৯ জন ভেন্টিলেশনে আছেন। সিএমএইচ-এ চিকিৎসাধীন ২৫ জনের মধ্যে ১২ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। সব মিলিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৮৮ জন বলে জানানো হয়।

ডা. মো. সায়েদুর রহমান বলেন, ‘আহত শিশুর সংখ্যা ১০০ এর বেশি এবং অন্যান্যরা ১৫ জনের কাছাকাছি হবে। এই আহত ১০০ জন শিশুর মধ্যে অল্পকিছু আছে যারা চিকিৎসা নিয়ে ইতোমধ্যে বাড়ি গিয়েছে। বাকিরা চিকিৎসাধীন রয়েছে।

রক্তের প্রয়োজন সম্পর্কে ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, “এই মুহূর্তে আহত রোগীদের জন্য প্রয়োজনীয় রক্ত মজুত আছে। তবুও কাল (মঙ্গলবার) থেকে ধাপে ধাপে রক্ত প্রয়োজন হতে পারে। এজন্য আগ্রহী রক্তদাতাদের বার্ন ইনস্টিটিউট এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফিউশান সেন্টারে রক্তদানের আহ্বান জানানো হচ্ছে। তবে অতিরিক্ত রক্ত সংগ্রহের প্রয়োজন নেই। একটি যুক্তিসঙ্গত সংখ্যক রক্তদাতা হলেই যথেষ্ট হবে।”

তিনি আরও বলেন, “চিকিৎসকদের কাজ করতে দিন। হাসপাতালে কেউ বিনা প্রয়োজন প্রবেশ করবেন না। ইনফেকশন প্রতিরোধে এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা চাই না কোনো রোগী সংক্রমণের কারণে মারা যাক।”

জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দিন জানান, “বর্তমানে ইনস্টিটিউটে আইসিইউ সিট আছে ২০টি এবং এসডিওতে রয়েছে আরও কয়েকটি শয্যা। রোগীদের অনেকের শ্বাসনালী পুড়ে গেছে, তাই তাদের জন্য নিবিড় পর্যবেক্ষণ প্রয়োজন।”

তিনি বলেন, “বাইরের কেউ রক্ত নিচ্ছে, এমন খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, এখন পর্যন্ত বার্ন ইনস্টিটিউট বা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নির্ধারিত ব্লাড সেন্টার ছাড়া অন্য কোথাও রক্ত সংগ্রহ কার্যক্রম চালু নেই। আগ্রহীদের প্রতি অনুরোধ থাকবে, আপনারা নির্ধারিত ব্লাড ব্যাংকেই রক্ত দিন।”

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামীকাল সকাল ৮টা থেকে প্রতি ৬ ঘণ্টা অন্তর নিয়মিত ব্রিফিং হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *