সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:৩২ অপরাহ্ন
বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরনের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাবের সৃষ্টিকাল থেকে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ উদ্ধার, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস, খুনী, ছিনতাইকারী, অপহরণ প্রতারকদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে চাঞ্চল্যকর অপরাধে জড়িতদের দ্রæততম সময়ে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে র্যাব জনগণের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ মডেল থানা এলাকা হতে একটি বিদেশী পিস্তল, ১০ রাউন্ড গুলি এবং ০১ টি ম্যাগাজিনসহ ০৫(পাঁচ) জন কে গত ১৭ আগষ্ট ২০২৫ইং তারিখ রাতে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-২। গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন ১। মোঃ সাইদুল ইসলাম ওরফে স্বপন (৩০) ২। মোঃ রায়হান (৪০) ৩। মেহেদী হাসান ইউসুফ (৩৮) ৪। মোঃ আবুল হাসেম (৬৪) ৫। জুয়েল মিয়া (৩২)। এ সময় গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের নিকট হতে উদ্ধার করা হয় ১টি বিদেশি পিস্তল, ১০ রাউন্ড গুলি এবং ০১ টি ম্যাগাজিন।
অবৈধ অস্ত্র, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ও মাদক উদ্ধারে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায়, গত ১৭/০৮/২০২৫ ইং তারিখ রাতে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-২ জানতে পারে যে ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন ঘাটারচর এলাকায় ০১ জন মাদক ব্যবসায়ী ও অস্ত্র বিক্রেতা অবস্থান করছে। উক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে উল্লেখিত স্থানে র্যাব-২ গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে। পরবর্তীতে র্যাব-২ এর আভিযানিক দল সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন ঘাটারচর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান পরিচালনাকালে আসামি মোঃ সাইদুল ইসলাম ওরফে স্বপন (৩০) কে আটক করা হয় এবং তার দেওয়া তথ্য মতে তার বসবাসরত রুমের খাটের নিচ হতে ০১টি বিদেশী পিস্তল, ১০ রাউন্ড গুলি এবং ০১ টি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়।
পরবর্তীতে আসামির দেওয়া আরো তথ্য মতে তার অন্যান্য সহযোগী আসামি মোঃ রায়হান (৪০) ও মেহেদী হাসান ইউসুফ (৩৮)দেরকে ঢাকা জেলার সাভার থানাধীন ভাকুর্তা এলাকা হতে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তাদের দেওয়া তথ্য মতে আসামি মোঃ আবুল হাসেম (৬৪) ও মোঃ জুয়েল মিয়া (৩২)দেরকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানা এলাকা হতে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা পরস্পর যোগসাজসে ও অসৎ উদ্দেশ্যে অবৈধ অস্ত্র নিজেদের হেফাজতে রেখে ক্রয়- বিক্রয় করে আসছিল। গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ অস্ত্রের ব্যবসা, জমি দখল, চাঁদাবাজি সহ বিভিন্ন সময় অস্ত্র প্রদর্শন করে সাধারন মানুষের মাঝে ভীতির সঞ্চার সৃষ্টি করে আসছিল। আসামিদের গ্রেপ্তার পূর্বক প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষন করে অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।