বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:৫৫ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম
আংশিক রপ্তানিকারকদের জন্য শীঘ্রই ব্যাংক গ্যারান্টির বিপরীতে বন্ড সুবিধা প্রদান মহানবী (সা) এর জীবনাদর্শ তরুণ প্রজন্মকে আলোড়িত করবে -ধর্ম উপদেষ্টা আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে – স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা খাদ্য উৎপাদনের সাথে জড়িত কৃষক ও জেলেদের মর্যাদা বৃদ্ধি করতে হবে। – পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান HS Code অথবা পণ্যের বর্ণনায় ভিন্নতা স্বত্তেও বন্ডেড প্রতিষ্ঠানের মালামাল খালাসের জন্য নির্দেশনা এয়ার টিকিটের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি ও সিন্ডিকেটের সাথে সম্পৃক্ততার কারণে ১৩ টি ট্রাভেল এজেন্সির নিবন্ধন বাতিল আলজেরিয়ায় বাংলাদেশিদের জন্য ‘ই-পাসপোর্ট’ সেবা চালু সেপটিক ট্যাংকের ঝুঁকি ও করণীয় বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে ফায়ার সার্ভিস ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাত দেশের জিডিপিতে প্রায় ত্রিশ শতাংশ অবদান রাখছে – শিল্ল উপদেষ্টা ১৬০০ লিটার নকল মবিলসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে বংশাল থানা পুলিশ

২০২০ সাল থেকে ২০২৫ সালের আগস্ট পর্যন্ত সংঘটিত অপরাধের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তুলনামূলক সার্বিক চিত্র দেওয়া হলো

মোঃ সিকান্দার আলী / ৬ পাঠক
প্রকাশকাল বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:৫৫ পূর্বাহ্ন

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শেষ ১৩ মাসে খুনের হার বেশি বলে মনে হলেও এর আংশিক কারণ হলো শেখ হাসিনার ১৬ বছরের শাসনামলে সংঘটিত কমপক্ষে ১,১৩০টি খুনের ঘটনায় গণ-অভ্যুত্থানের পরে অর্থাৎ ৬ আগস্ট, ২০২৪ সালের পর থেকে এই বছরের আগস্টের মধ্যে মামলা দায়ের হয়েছে। অনেক হত্যা মামলা পূর্বে ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসীদের হুমকির কারণে দায়ের করা যায়নি, পুলিশকেও মামলা নিতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছিল। সরকার পরিবর্তনের পরেই এসব তথ্য সামনে এসেছে এবং মামলাগুলো রেকর্ড করা হয়েছে।

অন্যান্য অপরাধ কি বাড়ছে?

বিগত বছরের তুলনায় ২০২৫ সালে অনেক ধরনের অপরাধের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মনে হলেও এর আংশিক হচ্ছে এখন মানুষ রাজনৈতিক প্রভাবশালী অপরাধীদের বিরুদ্ধেও সহজে মামলা করতে পারছে। ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা আগে ভুক্তভোগীদের মামলা করতে বাধা দিত, বিশেষ করে যদি অপরাধীরা তাদের দলের কর্মী হয়। শেখ হাসিনার আমলে অপরাধের তথ্য কম দেখানো হতো। ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা নিতেও পুলিশ অনিচ্ছুক ছিল।

ডেটাসেট থেকে উদাহরণ:

* ডাকাতির ঘটনা ১,৪০৫ (২০২৪) থেকে কমে ১,৩১৪ (২০২৫) হয়েছে, তবে ২০২৩-এর প্রথম ছয় মাসের তুলনায় এখনও বেশি। এর কারণ হলো, সমস্ত ডাকাতির ঘটনা এখন প্রভাবশালী ব্যক্তিদের হস্তক্ষেপ ছাড়াই থানায় রেকর্ড করা হচ্ছে। থানাগুলোর মধ্যে একটি সহায়ক পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে, যার কারণে নাগরিকরা ভয় বা দ্বিধা ছাড়াই অপরাধের অভিযোগ করতে পারছেন।

* আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইন, ২০০২ এর অধীনে অপরাধের সংখ্যা ১,২২৬ (২০২৪) থেকে কমে ৬৫১ (২০২৫) হয়েছে।

* দাঙ্গার ঘটনাও ১২৫ (২০২৪) থেকে কমে ৫৯ (২০২৫) হয়েছে।

* চুরির ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে: ৮,৬৫২ (২০২৪) → ৬,৩৫৪ (২০২৫)।

এ থেকে বোঝা যায়, রিপোর্ট করা সহিংস অপরাধ (যেমন খুন) বৃদ্ধি পেলেও সাধারণ অপরাধ নিম্নমুখী প্রবণতার দিকে ঝুঁকছে, যা উন্নত আইন প্রয়োগ এবং সঠিকভাবে মামলা রুজুর প্রক্রিয়া উভয়ের দিকেই ইঙ্গিত করে।

২০২৪ সালের আগস্ট থেকে খুন এবং কিছু অপরাধের বৃদ্ধি কেবল সহিংসতার বৃদ্ধি নয় বরং দীর্ঘদিন ধরে চাপা পড়ে থাকা মামলাগুলো অবশেষে দায়ের হওয়ার প্রতিফলন। গত ১৩ মাসে রেকর্ড করা মামলার মধ্যে ২০০৯ থেকে ২০১৩ সালে সংঘটিত হত্যার ঘটনাও হয়েছে।

অপরাধমূলক জবাবদিহিতা উন্নত হয়েছে:

রাজনৈতিক সন্ত্রাসের ভয় ছাড়াই এখন ভুক্তভোগীরা রিপোর্ট করতে পারছেন। পুলিশ কর্মকর্তারা কারো বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করতে কোনো নাগরিককে নিরুৎসাহিত করেন না বা বাধা দেন না।

কয়েকটি ক্যাটাগরিতে, বিশেষ করে চুরির ঘটনা প্রকৃতপক্ষে কমেছে যা আইনশৃঙ্খলার উন্নতির পাশাপাশি স্বাধীনভাবে মামলা দায়ের করার পরিবেশকে ইঙ্গিত করছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *