বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:১৯ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম
আইএমএফ প্রধান অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন অর্গানিক নিউট্রিশন লিমিটেড নিয়ে এলো ‘কারকুমা ভেজস্প্রেড’ ইন্দো-মালয়েশিয়ান মডেল হজ ব্যবস্থাপনায় নতুনত্ব আনতে পারে – ধর্ম উপদেষ্টা পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন আমাদের করতেই হবে— সুপ্রদীপ চাকমা সেতু বিভাগের সচিব মহোদয়ের জিআইসিসি সম্মেলনে অংশগ্রহন নাসা গ্রুপের শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করা না হলে মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা –শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ভারতে ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমোদন পেয়েছে সাইত্রিশ প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে ইংরেজি মাধ্যমে শিক্ষা গ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা আমাদের জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আরবান প্রাইমারী হেলথ কেয়ার সার্ভিসেস ডেলিভারী প্রজেক্ট-২য় পর্যায়” শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ৩টি নগর মাতৃসদন ও ৮টি নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্রের নবনির্মিত ভবনের শুভ উদ্বোধন। জাপানে জনশক্তি রপ্তানি নিয়ে নানা সিদ্ধান্ত

বাংলাদেশে ইংরেজি মাধ্যমে শিক্ষা গ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা আমাদের জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

মোঃ সিকান্দার আলী / ১৭ পাঠক
প্রকাশকাল বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:১৯ পূর্বাহ্ন

শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরার বলেন, বাংলাদেশে ইংরেজি মাধ্যমে শিক্ষা গ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা আমাদের জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাদের নিবন্ধন, সনদ ও উচ্চশিক্ষায় অগ্রগতির বিষয়গুলোকে সুশৃঙ্খল ও স্বচ্ছভাবে নিশ্চিত করা জরুরি। এজন্য অনুমোদিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও জাতীয় শিক্ষাক্রমের সঙ্গে সমন্বয় করে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আজ দুপুরে নিজ কার্যালয়ে Bangladesh English Medium School Assistance Foundation (BEMSAF)-এর একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

এসময় বৈঠকে অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলোর বিদ্যমান সমস্যা ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরে।

প্রতিনিধিদল জানায়, বর্তমানে ইংরেজি মাধ্যমে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা ব্রিটিশ কাউন্সিলের মাধ্যমে Edexcel এবং CAIE (Cambridge Assessment International Education) পরীক্ষার জন্য নিবন্ধন (রেজিস্ট্রেশন) করে থাকে। শিক্ষার্থীরা ব্যক্তিগতভাবেও নিবন্ধনের সুযোগ পান। তবে স্কুলভিত্তিক সনদ না থাকলে উচ্চশিক্ষায় ভর্তির ক্ষেত্রে জটিলতা দেখা দেয়। অনেক শিক্ষার্থী এ ক্ষেত্রে এমন সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করেন, যেগুলোর প্রকৃত অস্তিত্ব নেই। এতে ভবিষ্যতে বিদেশে উচ্চশিক্ষা অর্জনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের সমস্যা তৈরি হতে পারে।

এই প্রেক্ষাপটে প্রতিনিধিদল অনুমোদিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের EIIN (Educational Institution Identification Number) ব্যবহার করে এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (NCTB) অনুমোদন সাপেক্ষে Edexcel ও CAIE-এর নিবন্ধনের ব্যবস্থা করার দাবি জানায়। পাশাপাশি নবম শ্রেণি থেকে প্রাক-নিবন্ধন (Pre-registration) প্রক্রিয়া চালুরও প্রস্তাব দেয়।

প্রতিনিধিরা আরও বলেন, স্কুল চলাকালীন সময়ে কোচিং সেন্টারের কার্যক্রম চালু থাকায় শিক্ষার্থীরা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা, শৃঙ্খলাবোধ ও ভবিষ্যৎ লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হচ্ছে। তাই এ সময়ে কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার দাবি জানান তারা।
এছাড়া, Edexcel এবং CAIE পরীক্ষার নিবন্ধন ফি অত্যধিক হওয়ায় তা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে উল্লেখ করেন প্রতিনিধিরা। তারা নিবন্ধন ফি সহনীয় পর্যায়ে আনার অনুরোধ জানান।

প্রতিনিধিদল দেশের জাতীয় শিক্ষাক্রমের আওতাভুক্ত স্কুল, মাদ্রাসা এবং কারিগরি প্রতিষ্ঠানগুলোতে English Speaking Club গঠনে সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন। তাদের মতে, এটি শিক্ষার্থীদের ইংরেজি দক্ষতা বাড়াতে সহায়ক হবে এবং ভবিষ্যৎ দক্ষ মানবসম্পদ গঠনে অবদান রাখবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *