শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:০০ পূর্বাহ্ন
সোমবার (১৭ নভেম্বর) রাজধানীর পল্লবীতে কয়েকজন অস্ত্রধারীর এলোপাতাড়ি গুলিতে গোলাম কিবরিয়া নামে এক ব্যক্তি নিহত হন। এ ঘটনায় পাঁচ জন এজাহারনামীয় ও ৭/৮ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে পল্লবী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
সুষ্ঠু তদন্ত ও জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের লক্ষ্যে মামলাটি ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়। এই প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) শরীয়তপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ঘটনার সাথে জড়িত নজরুল, মাসুম ও জামান নামে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা ঘটনায় জড়িত থাকার কথা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করে এবং ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্র ও গুলি জনৈক মো: মোক্তার হোসেনের হেফাজতে আছে মর্মে জানায়। তাদের কাছে পাওয়া তথ্য মোতাবেক মোক্তারকে আটক করতে ডিবির একটি টিম বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যা আনুমানিক ০৬.০০ ঘটিকার সময় রাজধানীর পল্লবী এলাকায় একটি গ্যারেজে অভিযান পরিচালনা করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় কৌশলে তাকে আটক করা হয়। এ সময় উত্তেজিত জনতা তাকে কিল-ঘুষি মারে। পরবর্তীতে মোক্তারের দেখানো মতে পল্লবী এলাকার একটি রিকশা গ্যারেজ থেকে আট রাউন্ড পিস্তলের গুলি উদ্ধার করে ডিবি।
আটককৃত মোক্তার হোসেনকে (৪০) পরবর্তীতে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। রাত আনুমানিক ০১.৩০ ঘটিকার দিকে সে অসুস্থ বোধ করলে তাৎক্ষণিক তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকগণ তাকে প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে কিছু ওষুধপত্র দিয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র প্রদান করলে পুনরায় তাকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়।
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকাল আনুমানিক ১০.০০ ঘটিকার দিকে মোক্তার হোসেনকে খাওয়ার জন্য ডাকাডাকি করা হলে কোন সাড়াশব্দ না পাওয়ায় কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকগণ তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) মোঃ সরওয়ার, বিপিএম-সেবা এর নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।