সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:০৪ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম
তিউনিসিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী নাফতি ফোরামের প্রান্তে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে দেখা করেন। ওসমান হাদিকে সিঙ্গাপুরে পাঠানোর উদ্যোগ জাতিসংঘ মহাসচিব প্রধান উপদেষ্টাকে ফোন করে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বৈজ্ঞানিকভাবে মাছ চাষ খাদ্য নিরাপত্তায় নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করছে -মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা উপকূল শুধু দুর্যোগের ক্ষেত্র নয়, অর্থনীতির বড় চালিকাশক্তি: জাতীয় উপকূল সম্মেলনে —হোসেন জিল্লুর রহমান ভূমি সংক্রান্ত জটিলতার অন্যতম বড় কারণ হলো ভূমি প্রশাসন ও ভূমি রেজিস্ট্রেশনের দ্বৈত নিয়ন্ত্রণ -সিনিয়র সচিব এএসএম সালেহ আহমেদ।। থাই রাষ্ট্রদূতের প্রধান উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাৎ ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদির ওপর হামলায় জড়িতদের সনাক্ত করা হয়েছে: ডিএমপি ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ও বিডিএস পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত ৫৬৪৫ জন প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত বাংলাদেশে অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে জাতিসংঘ সংস্থাসমূহের সহযোগিতার আশ্বাস

ভূমি সংক্রান্ত জটিলতার অন্যতম বড় কারণ হলো ভূমি প্রশাসন ও ভূমি রেজিস্ট্রেশনের দ্বৈত নিয়ন্ত্রণ -সিনিয়র সচিব এএসএম সালেহ আহমেদ।।

আলী আহসান রবি - স্টাফ রিপোর্টার / ৩১ পাঠক
প্রকাশকাল সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:০৪ পূর্বাহ্ন

ভূমি রেজিষ্ট্রেশন ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীন হওয়া উচিত বলেন, ভুমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এএসএম সালেহ আহমেদ। আজ ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে একই ছাতার নিচে ভুমিসেবা সহজে প্রদানের লক্ষ্যে জন প্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশের আলোকে রেজিষ্ট্রেশন সংক্রান্ত কার্যবলি ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতায়ধীনে আনায়নের নিমিত্ত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সিনিয়র সচিব বলেন,বাংলাদেশে ভূমি ব্যবস্থাপনা দীর্ঘদিন ধরেই জটিলতা ও জনভোগান্তির প্রতীক হিসেবে পরিচিত। ভূমি সংক্রান্ত জটিলতার অন্যতম বড় কারণ হলো ভূমি প্রশাসন ও ভূমি রেজিস্ট্রেশনের দ্বৈত নিয়ন্ত্রণ। বর্তমানে ভূমি প্রশাসন ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীন হলেও ভূমি রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম পরিচালিত হয় আইন মন্ত্রণালয়ের অধীন। এই বিভাজন প্রশাসনিক অসামঞ্জস্য সৃষ্টি করেছে এবং ভূমি ব্যবস্থাপনাকে আরও দুরূহ করে তুলেছে।

তিনি বলেন, আমরা সকলে জনগণের জন্য কাজ করি তাই জনগণের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য আমাদের সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে। এখানে কে কোন মন্ত্রণালয় কাজ করছেন সেটা মুখ্য নয়,মুখ্য হচ্ছে জনগণকে কতটুকু সেবা দিতে পেরেছি। ভূমি রেজিস্ট্রেশন মূলত ভূমি ব্যবস্থাপনারই একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। জমির মালিকানা হস্তান্তর, দলিল সম্পাদন, নামজারি ও খতিয়ান সংশোধন সবকিছুই একই ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার অন্তর্ভুক্ত। অথচ এই একই প্রক্রিয়ার দায়িত্ব যখন ভিন্ন ভিন্ন মন্ত্রণালয়ের হাতে থাকে, তখন তথ্যের সমন্বয় ব্যাহত হয়, সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিলম্ব ঘটে এবং দুর্নীতির সুযোগ বাড়ে।

তিনি আরো বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে ভূমি রেজিস্ট্রেশন আনা হলে একটি একক কর্তৃত্ব ও সমন্বিত ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা সম্ভব হবে। এতে ভূমি সংক্রান্ত সব তথ্য এক প্ল্যাটফর্মে সংরক্ষণ ও যাচাই করা সহজ হবে। ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়নও আরও কার্যকর হবে। একই সঙ্গে দলিল জালিয়াতি, দ্বৈত নিবন্ধন ও কাগজপত্রের অসামঞ্জস্য অনেকাংশে কমে আসবে। বর্তমানে দেখা যায়, একটি জমি কেনার পর মালিকানা নিশ্চিত করতে বছরের পর বছর লেগে যায়। ভূমি রেজিস্ট্রেশন যদি ভূমি মন্ত্রণালয়ের সরাসরি তত্ত্বাবধানে থাকে, তবে এক ছাতার নিচে সেবার মাধ্যমে জনভোগান্তি কমানো সম্ভব। ভূমি সংক্রান্ত সব কার্যক্রমকে একটি সমন্বিত কাঠামোর আওতায় আনতে হলে ভূমি রেজিস্ট্রেশনকে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীন করা হলে ভূমি ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ফিরবে, দুর্নীতি কমবে।

ভুমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এএসএম সালেহ আহমেদ এর সভাপতিত্বে সভায় ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান (সচিব) এজেএম সালাউদ্দিন নাগরী,ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান(গ্রেড-১) ড.মো:মাহমুদ হাসানসহ মন্ত্রণালয়য়ে অতিরিক্ত সচিববৃন্দ এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.