শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ০১:৩৮ অপরাহ্ন

শিরোনাম
ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং টোবগে ঢাকায় পৌঁছেছেন খুলনা বিভাগের উন্নয়নচ্যালেঞ্জে বিশিষ্টজনদের ৫ দফা সুপারিশ মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আগামী ২৫ নভেম্বর ২০২৫ থেকে ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত ১৬ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ পালিত হবে। স্কুল শিক্ষার্থীদের নিয়ে হাইজিন ক্যাম্পেইন শুরু করলো লায়ন কল্লোল দ্য ওয়েস্টিন ঢাকা আয়োজন করছে “টেস্ট অফ অ্যারাবিয়া” – আরব বিশ্বের আসল স্বাদ ও সমৃদ্ধ রন্ধন ঐতিহ্যের এক অনন্য উৎসব প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপার্সনের সৌজন্য সাক্ষাৎ আলেমদেরকে রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হবে          -ধর্ম উপদেষ্টা সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ ২১ নভেম্বর ২০২৫ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে প্রধান উপদেষ্টার শোকবার্তা

দুদকের হাতে সাবেক মন্ত্রী রেজাউল ও প্রতিমন্ত্রী মুন্নুজানসহ ৫ জন

মোঃ সিকান্দার আলী / ২৬৭ পাঠক
প্রকাশকাল শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ০১:৩৮ অপরাহ্ন

সাবেক মন্ত্রী শ. ম রেজাউল করিম ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুন্নুজান সুফিয়ান। সাবেক মন্ত্রী শ. ম রেজাউল করিম, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুন্নুজান সুফিয়ান এবং তার ভাইসহ পাঁচজনের দুর্নীতি অনুসন্ধানে সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ রোববার দুদকের কমিশন সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন কমিশনের সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন।
 
সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত এবং মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী শ. ম রেজাউল করিম ছাড়াও অন্য অভিযুক্তরা হলেন; সাবেক শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুন্নুজান সুফিয়ান, সুফিয়ানের এপিএস ও ছোটভাই মো. সাহাবুদ্দিন, সাহাবুদ্দিনের মেয়ে শামীমা সুলতানা হৃদয়, বোনের ছেলে ইয়াছির আরাফাত পৃথিবী। 

দুদক সচিব বলেন, তাদের বিরুদ্ধে অর্থপাচার, প্রকল্পে অনিয়মসহ দেশে বিদেশে বিপুল অবৈধ সম্পদ গড়ার অভিযোগ রয়েছে। দুদকের গোয়েন্দা ইউনিটের করা অনুসন্ধান তথ্য আমলে নিয়ে কমিশন তাদের দুর্নীতি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 

খোরশেদা ইয়াসমীন বলেন, শ. ম. রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে অভিযোগে আনা তথ্যাদি তথা দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে নিজ নামে এবং তার পোষ্যবর্গের এবং আত্মীয়-স্বজনের নামে তার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছে মর্মে প্রাথমিকভাবে সঠিকতা পাওয়া গেছে। দুর্নীতি ও অনৈতিক কার্যক্রমসহ নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। 

এ ছাড়া মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে প্রাণী সম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন নামক প্রকল্প এর আওতায় বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ক্রয় এবং প্রশিক্ষণের নামে ২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ। এছাড়াও তার দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ সম্পদ রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। 

সাবেক শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুন্নুজান সুফিয়ান প্রতিমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই তার ওপর স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠে। নিজ মন্ত্রণালয়ে তার পরিবারতন্ত্র কায়েমের বিষয়টি ওপেন সিক্রেট হয়ে পড়ে। খুলনা-৩ আসন থেকে ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে টানা তিনবার নির্বাচিত হন। প্রতিমন্ত্রী হওয়ার পর সমালোচনার মুখে ২০২৪ এর নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হন। 

দুদকের গোয়েন্দা প্রতিবেদনের সূত্র বলছে, মুন্নুজান তার এপিএস ছোটভাই মো সাহাবুদ্দিন, সাহাবুদ্দিনের মেয়ে শামীমা সুলতানা হৃদয়, বোনের ছেল ইয়াছির আরাফাত পৃথিবী ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনৈতিক কার্যক্রমসহ নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন।
 
সূত্রে আরও জানা যায়, মুন্নুজান নিজ নামে ঢাকার উত্তরায় ১০ নম্বর সেক্টরে রাজউকের ৫ কাঠা জমি, ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় খুলনা ৩তলা বাড়ি, ২ টি গাড়ি, কেডিএ, মৌথুরী হাউসিং ১৬ কাঠা জমি কিনেছেন। 

এছাড়াও বিভিন্ন নিয়োগ, পোস্টিং ও পদোন্নতির মাধ্যমে তার এপিএস ছোটভাই মো.সাহাবুদ্দিন, সাহাবুদ্দিনের মেয়ে শামীমা সুলতানা হৃদয়, বোনের ছেলে ইয়াছির আরাফাত পৃথিবী কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *