বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ০১:৪৮ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম
বাংলাদেশ ইউনেস্কোর সাধারণ সম্মেলনের সভাপতি নির্বাচিত প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাণিজ্য উপদেষ্টার সাথে জার্মানির রাষ্ট্রদূতের বৈঠক প্রবীণরা পথপ্রদর্শক সম্মান দেওয়া, সম্মান পাওয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত তাদের সম্মান করতে হবে। সচিবালয়ে একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক নিষিদ্ধকরণ বাস্তবায়ন: আগতদের কাপড়ের ব্যাগ প্রদান অব্যাহত রেখেছে মনিটরিং টিম বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ তুরস্কের দিয়ানাত ফাউন্ডেশন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ইমামদেরকে প্রশিক্ষণ দেবে আমার মন্ত্রণালয়ের কাঠামো পরিবর্তন করে সকল অনিয়ম , দুর্নীতি দূর করতে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছি। — উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী প্রধান উপদেষ্টার সাথে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেছেন, তার “অত্যন্ত সফল” নিউইয়র্ক সফরের প্রশংসা করেছেন টাইফয়েড টিকা শতভাগ নিশ্চিতের নির্দেশনা স্বাস্থ্য উপদেষ্টার

টাইফয়েড টিকা শতভাগ নিশ্চিতের নির্দেশনা স্বাস্থ্য উপদেষ্টার

আলী আহসান রবি - স্টাফ রিপোর্টার / ৭ পাঠক
প্রকাশকাল বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ০১:৪৮ পূর্বাহ্ন

এখনও বাংলাদেশে টাইফয়েডে শিশু মারা যায়, এটি মোটেও কাঙ্ক্ষিত নয় মন্তব্য করে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূর জাহান বেগম বলেছেন, ডায়রিয়া, রাতকানা রোগসহ অনেক রোগ আমরা প্রতিরোধ করেছি। অথচ, টাইফয়েডে এখনও দেশের শিশু মারা যায়, অঙ্গহানি হয়। দেরিতে হলেও আমরা টাইফয়েডের টিকাদান শুরু করেছি। আশা করি সফল হবো। টাইফয়েড টিকা প্রদান ও প্রাপ্তি শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে।

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা আজ শাহবাগে শহীদ আবু সাঈদ কনভেনশন সেন্টারে ‘টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন ২০২৫’ এর জাতীয় অ্যাডভোকেসি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, টাইফয়েড জ্বর থেকে শিশুদের সুরক্ষিত রাখতে ১২ অক্টোবর থেকে সারাদেশে এই টিকাদান শুরু হবে। ৫ কোটি শিশুকে এই টিকা দেওয়ার টার্গেট। ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম যেকোনো শিশু এই টিকা দিতে পারবে।

প্রচার প্রচারণার ওপর
গুরুত্বারোপ করে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূর জাহান বেগম বলেন, আমার ঘরে আমি এটির কোনো লক্ষ্মণ পাইনি। নাতি নাতনি আছে, কাজের লোকেরও বাচ্চা আছে। কেউ বলল না। তার মানে আমরা সব ঘরে পৌঁছাতে পারিনি। আমাদের নৈতিক দায়িত্ব একটি শিশুও যাতে বাদ না যায়। জন্ম সনদ থাকুক না থাকুক, সবাইকে সুযোগ দিতে হবে। প্রচার প্রচারণা আরও বাড়াতে হবে। এই কর্মসূচির মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু হলো- আশা করি, আমরা আমাদের সন্তানদের রক্ষা করতে পারবো। ইপিআই এর সাফল্য আছে টিকা দানে, এতেও সাফল্য আসবে ইনশাআল্লাহ।

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, আমাদের লক্ষ্য থাকবে শতভাগ শিশুর টিকাদান নিশ্চিত করবো৷ মানুষের মধ্যে যাতে ভুল ধারণা সৃষ্টি না হয়, সেজন্য আমাদের মানুষকে বুঝাতে হবে। এ ক্ষেত্রে সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃত্বের পাশাপাশি গণমাধ্যমের ভূমিকা আছে।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা) অধ্যাপক ডা সায়েদুর রহমান বলেন, স্বাস্থ্য খাতে আমাদের সবচেয়ে সফল কর্মসূচি হলো টিকাদান কর্মসূচি। টাইফয়েডও হয়ত রেগুলার টিকাদান কর্মসূচিতে ঢুকবে৷ আমরা টিকাদানে সক্ষম জনশক্তি বাড়াতে চাই। এজন্য মেডিকেল কলেজ ও নার্সিং কলেজ এর শিক্ষার্থী এবং ইন্টার্নদের সংযুক্ত করা যেতে পারে।

স্বাস্থ্য সচিব মো. সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে আরও আলোচনা করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা মো. আবু জাফর, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জনস্বাস্থ্য অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ টি এম সাইফুল ইসলাম, এনজিও ব্যুরোর মহাপরিচালক দাউদ মিয়া এবং সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, ইউনিসেফের দীপিকা শর্মা ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডেপুটি রিপ্রেজেনটেটিভ রাজেশ নরওয়ানসহ বিদেশি প্রতিনিধি, দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের টিকাদান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশ নেন।

টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইনের এই পুরো প্রক্রিয়াতে সহযোগিতা করছেন- গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন (গাভি) এবং ইউনিসেফ। ইতিমধ্যে প্রায় দুই কোটি নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে। টিকাদানের সময় নিবন্ধন ছাড়া কোনো শিশু আসলেও টিকা পাবে। তবে, নিবন্ধনে উৎসাহিত করছে কর্তৃপক্ষ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *