শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:২২ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম
খুলনা বিভাগের উন্নয়নচ্যালেঞ্জে বিশিষ্টজনদের ৫ দফা সুপারিশ মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আগামী ২৫ নভেম্বর ২০২৫ থেকে ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত ১৬ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ পালিত হবে। স্কুল শিক্ষার্থীদের নিয়ে হাইজিন ক্যাম্পেইন শুরু করলো লায়ন কল্লোল দ্য ওয়েস্টিন ঢাকা আয়োজন করছে “টেস্ট অফ অ্যারাবিয়া” – আরব বিশ্বের আসল স্বাদ ও সমৃদ্ধ রন্ধন ঐতিহ্যের এক অনন্য উৎসব প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপার্সনের সৌজন্য সাক্ষাৎ আলেমদেরকে রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হবে          -ধর্ম উপদেষ্টা সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ ২১ নভেম্বর ২০২৫ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে প্রধান উপদেষ্টার শোকবার্তা রক্তচোষা গ্রুপের মূলহোতা মোঃ জনি ওরফে রক্তচোষা জনি (৩২) কে দেশীয় অস্ত্র সামুরাইসহ গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-২

অনন্যা সাহিত্য পুরষ্কার পেলেন মহুয়া রউফ নিজস্ব প্রতিবেদক

ফটোসাংবাদিক ,মোস্তাফিজুর রহমান মিন্টু / ২৫ পাঠক
প্রকাশকাল শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:২২ পূর্বাহ্ন

দেশের শীর্ষস্থানীয় নারীভিত্তিক ম্যাগাজিন পাক্ষিক অনন্যার আয়োজনে প্রতিবছরের ধারাবাহিকতায় অনুষ্ঠিত হলো অনন্যা সাহিত্য পুরষ্কার-১৪৩২ প্রদান অনুষ্ঠান।
রাজধানীর ধানমন্ডির বেঙ্গল শিল্পালয়ে শনিবার (১৫ নভেম্বর) বিকালে এই পুরষ্কার প্রদান অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
এবছর এই পুরষ্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন ভ্রমণবিষয়ক লেখক ও ভূপর্যটক মহুয়া রউফ।

পাক্ষিক অনন্যা ও দৈনিক ইত্তেফাকের সম্পাদক তাসমিমা হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ড. তানজিনা হোসেন ও কবি পিয়াস মজিদ। তারা মহুয়া রউফের লেখার ওপর আলোচনা করেন।

তাসমিমা হোসেন বলেন, এই প্রথম অনন্যা ভ্রমনবিষয়ক লেখককে পুরষ্কৃত করলো। বাংলাদেশে নারীদের মধ্যে খুব কম এমন লেখিকা পাওয়া যাবে। ভ্রমণের মধ্যে মহুয়া নতুন আংগিক এনেছে। কিভাবে একটা লেখাকে শিক্ষনীয় করা যায় তা মহুয়া রউফের লেখা পড়লে বোঝা যায়। তার লেখনিতে ভাষাশৈলী ও গরীর জ্ঞ্যান দারুনভাবে উঠে এসেছে।

বক্তারা বলেন, মহুয়া রউফ তার প্রথম বই ‘দখিন দুয়ার খোলা’-তে অ্যান্টার্কটিকার দুর্গম অভিযাত্রার রোমাঞ্চকে তুলে এনেছেন নতুন দৃষ্টিতে।
দ্বিতীয় বই ‘লাতিনের নাটাই’ পাঠককে নিয়ে গেছে মায়া-ইনকা সভ্যতার বিস্ময়, নেরুদার কবিতার সুর আর লাতিন সংস্কৃতির প্রাণচাঞ্চল্যের ভেতরে।
তার ভ্রমণগদ্য মানুষের জীবন, ইতিহাস, প্রকৃতি আর স্মৃতির ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া এক নবতর আলোকরেখা। এভাবে তিনি বাংলা ভ্রমণসাহিত্যকে দিয়েছেন কৌতূহলোদ্দীপক ভিন্নতর বৈশিষ্ট্য।

বক্তারা আরও বলেন, মহুয়া রউফ গবেষক হিসেবে বহু দিনে ধরে অনুসন্ধিৎসু মন নিয়ে ছুটে গেছেন পৃথিবীর দূরতম বিচিত্র অঞ্চলে। আর সেই পথচলার মধ্যেই জন্ম নিয়েছে তার লেখকসত্তা। একাকী ভ্রমণ তাঁর কাছে শুধু স্বাধীনতার অনুশীলন নয়-এ এক অপার আত্মবিশ্বাস। ইউরোপের ব্যস্ত নগরী থেকে লাতিন আমেরিকার উন্মাতাল সংস্কৃতি, আবার সোজা পৃথিবীর সর্বদক্ষিণের বরফমহাদেশ অ্যান্টার্কটিকা-সবখানেই তিনি হেঁটেছেন নিজের কৌতূহল আর জেদকে সঙ্গী করে।

এর আগে অনুষ্ঠানে পুরষ্কারপ্রাপ্ত লেখকের ওপর তাপস কুমার দত্ত নির্মিত তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
এরপর তাকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন অনন্যা সম্পাদক তাসমিমা হোসেন। পরে তাকে ক্রেস্ট তুলে দেন অতিথিরা।

সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য নারী সাহিত্যিকদের ১৯৯৩ সাল (বাংলা ১৪০১ সন) থেকে ৩২ বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে অনন্যা সাহিত্য পুরষ্কার দেওয়া হচ্ছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.