রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৩৮ অপরাহ্ন

শিরোনাম
দ্বীনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত আলেম-ওলামাদের পক্ষ হতে আসা প্রয়োজন               -ধর্ম উপদেষ্টা একটি ন্যায়ভিত্তিক, পরিবেশ ও নারীবান্ধব সমাজ গঠনে সবাইকে কাজ করতে হবে। – পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। স্টুডিও ধিয়েটার হলে এরশাদ হাসান-এর একক অভিনয়ে নাটক ‘ভাসানে উজান’ এর দ্বিতীয় প্রদর্শনী ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সাথে বাণিজ্য উপদেষ্টার বৈঠক ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার সাথে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করেছেন তিনটি শূন্য-শূন্য কার্বন নির্গমন, শূন্য কর্মসংস্থান এবং শূন্য দারিদ্র্যের উপর জোর দেন —–উপদেষ্টা মাননীয় জনাব আদিলুর রহমান খান মৎস্য চাষে নিরাপদ ফিড ও ওষুধ সরবারহে নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে — মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সমাবর্তন-২০২৫ অনুষ্ঠিত প্রধানমন্ত্রী টোবগে ঢাকা সফরে বাংলাদেশ ও ভুটান দুটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছেন মোহাম্মদপুর থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ১৩ জন গ্রেফতার

নীরবতা ভেঙে আবারও প্রাণ ফিরে পেয়েছে সোনারং জোড়া মঠ

মোহাম্মদ তিতুমীর বেপারী (মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি) / ৩১ পাঠক
প্রকাশকাল রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৩৮ অপরাহ্ন

দীর্ঘদিনের নীরবতা ভেঙে আবারও প্রাণ ফিরে পেয়েছে মুন্সিগঞ্জের টংগিবাড়ীর ঐতিহাসিক প্রত্ননিদর্শন সোনারং জোড়া মঠ।
এক সময়ের জরাজীর্ণ, ভগ্নপ্রায় অষ্টাদশ শতাব্দীর এই স্থাপনাটি এখন নতুন রূপে দর্শনার্থীদের স্বাগত জানাচ্ছে। সংস্কারের পর সোনারং মঠ যেন অতীতের গৌরবকে নতুনভাবে ধারণ করেছে আপন মহিমায়।
মঠ দু’টির গায়ে এখন সাদা ও পোড়ামাটির রঙের অনন্য সংমিশ্রণ। দেয়ালে ফুটে উঠেছে নানান নকশা ও কারুকার্য, যা মঠের স্থাপত্যে নতুন প্রাণ সঞ্চার করেছে। চারপাশের সবুজ গাছপালার ছায়ায় এই স্থাপনাটি এখন আরও নান্দনিক হয়ে উঠেছে। ফলে প্রতিদিনই ভিড় জমাচ্ছেন দর্শনার্থীরা- কেউ ইতিহাস জানতে, কেউবা শুধুই সৌন্দর্য উপভোগে।

ইতিহাসে জোড়া মঠ হিসাবে পরিচিত লাভ করলেও মুলত এটি জোড়া মন্দির। মন্দিরের একটি প্রস্তর লিপি থেকে জানা যায় এলাকার রূপচন্দ্র নামে হিন্দু লোক বড় কালীমন্দিরটি ১৮৪৩ সালে ও ছোট মন্দিরটি ১৮৮৬ সালে নির্মাণ করেন। ছোট মন্দিরটি মূলত শিবমন্দির। বড় মন্দিরটির উচ্চতা প্রায় ১৫ মিটার।
উপাসনালয়ের সামনে বারান্দার দৈর্ঘ্য বড় মঠে ১.৯৪ মিটার, আর ছোট মঠে ১.৫ মিটার।
মঠের সামনে রয়েছে একটি বড় পুকুর, যা বড় মঠ নির্মাণের সময়ই খনন করা হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। এই পুকুর ও আশপাশের সবুজ পরিবেশ মঠের সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে তুলেছে। সংস্কারের পরও সংরক্ষিত রয়েছে মঠের প্রাচীন গঠন ও নকশা, যাতে স্পষ্ট ফুটে ওঠে সে সময়ের শিল্প ও স্থাপত্যরীতি।
প্রকৃতির সঙ্গে ইতিহাসের এক চমৎকার মিলন ঘটেছে এখানে। মঠের দেয়াল ও ছাদের বিভিন্ন অংশে টিয়া পাখির বাসা এবং তাদের কলরব যেন জীবন্ত করে তুলেছে নিস্তব্ধ অতীতকে।

মুন্সিগঞ্জ জেলার টংগিবাড়ী উপজেলার সোনারং গ্রামে অবস্থিত এই প্রত্ননিদর্শন শুধু ধর্মীয় স্থাপনা নয়, এটি বাংলার স্থাপত্য ঐতিহ্যের এক উজ্জ্বল নিদর্শন। সংস্কারের পর এখন সোনারং জোড়া মঠ হয়ে উঠেছে নতুন প্রজন্মের জন্য ইতিহাস জানার এক অনন্য ঠিকানা।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.