বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:২৬ পূর্বাহ্ন
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অব্যাহত রেখে মৎস্য অধিদপ্তরকে আরো টেকসই উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। ব্রাজিলসহ আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ আরও সক্রিয় ভূমিকা রাখবে বলেও তিনি এসময় আশা প্রকাশ করেন।
আজ হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে অনুষ্ঠিত “TERMINAL WORKSHOP Community-based Climate Resilient Fisheries and Aquaculture Development in Bangladesh”- শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, কোনো প্রকল্পের শেষ দিন থাকতেই পারে, কিন্তু কাজের শেষ নেই। প্রকল্পের লক্ষ্য অর্জন, মূল্যায়ন ও পরবর্তী ধাপ নির্ধারণ—এসবই প্রকৃত সফলতার মাপকাঠি বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন একটি চলমান সংকট; এর প্রভাব দিন দিন বাড়ছে। ধনী দেশগুলো জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার কমাতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে না পারায় কার্বন নিঃসরণ কমছে না। ফলে শুধু অ্যাডাপটেশন (অভিযোজন) নয়, মিটিগেশন (প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা) শক্তিশালীভাবে চালিয়ে যেতে হবে।
দক্ষিণাঞ্চলের দুর্যোগপ্রবণ এলাকার করুণ বাস্তবতা তুলে ধরে মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের মানুষ নিজেদের শক্তি, হাসি ও অদম্য প্রাণশক্তির মাধ্যমে একটি স্বভাবগতভাবে জলবায়ু-সহনশীল জাতি হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করেছে।
উপদেষ্টা বলেন, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, বাগেরহাটসহ উপকূলীয় এলাকায় জলবায়ু সহনশীল মৎস্য খাতে সম্প্রসারণ জরুরি। বাগদা-গলদা ওয়াইল্ড বৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও জীবিকা শক্তিশালীকরণ একসাথে চলতে হবে। তিনি স্বল্পমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী—টেকসই ফলাফল নিশ্চিতের জন্য ইমপ্যাক্ট স্টাডি করার ওপর গুরুত্বরোপ করেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল (IFAD)-এর বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর মি. ভ্যালেন্টাইন আচাঞ্জো (Mr Valantine Achancho)। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মোঃ আবদুর রউফ।