মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:১৮ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ সীমান্ত থেকে ০৪টি বিদেশি পিস্তল, ০৯টি ম্যাগাজিন ও ২৪ রাউন্ড গুলি জব্দ শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সাথে আন্তর্জাতিক ট্রেড ইউনিয়ন কনফেডারেশন – এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ০৩ জন ডেলিগেটের সাক্ষাৎ রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও জাতীয় সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীদের অনুকূলে আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স ও রিটেইনার নিয়োগ নীতিমালা, ২০২৫ জারি প্রথমবারের মতো বন্যপ্রাণী গবেষকদের জন্য ৫০ লাখ টাকার অনুদান দিচ্ছে বন বিভাগ ওসমান হাদী গুলিবিদ্ধের ঘটনায় সীমান্তে সতর্ক বিজিবি; শেরপুরের বারোমারি সীমান্ত থেকে ২ জন আটক বিজয় দিবস উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করেন প্রধান উপদেষ্টা ইউজিসি ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ে স্টেকহোল্ডার কনসালটেশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত। সাংবাদিকদের কল্যাণে প্রয়োজনীয় সকল উদ্যোগ নেবে সরকার। — তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ভারতে গিয়ে সেলফি , হাদিকে গুলি করা ব্যক্তি মাসুদের চিংড়ির উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি নিরাপদ ও গুণগত উৎপাদন নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি — মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

ভূমি সংক্রান্ত জটিলতার অন্যতম বড় কারণ হলো ভূমি প্রশাসন ও ভূমি রেজিস্ট্রেশনের দ্বৈত নিয়ন্ত্রণ -সিনিয়র সচিব এএসএম সালেহ আহমেদ।।

আলী আহসান রবি - স্টাফ রিপোর্টার / ৩৫ পাঠক
প্রকাশকাল মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:১৮ পূর্বাহ্ন

ভূমি রেজিষ্ট্রেশন ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীন হওয়া উচিত বলেন, ভুমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এএসএম সালেহ আহমেদ। আজ ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে একই ছাতার নিচে ভুমিসেবা সহজে প্রদানের লক্ষ্যে জন প্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশের আলোকে রেজিষ্ট্রেশন সংক্রান্ত কার্যবলি ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতায়ধীনে আনায়নের নিমিত্ত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সিনিয়র সচিব বলেন,বাংলাদেশে ভূমি ব্যবস্থাপনা দীর্ঘদিন ধরেই জটিলতা ও জনভোগান্তির প্রতীক হিসেবে পরিচিত। ভূমি সংক্রান্ত জটিলতার অন্যতম বড় কারণ হলো ভূমি প্রশাসন ও ভূমি রেজিস্ট্রেশনের দ্বৈত নিয়ন্ত্রণ। বর্তমানে ভূমি প্রশাসন ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীন হলেও ভূমি রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম পরিচালিত হয় আইন মন্ত্রণালয়ের অধীন। এই বিভাজন প্রশাসনিক অসামঞ্জস্য সৃষ্টি করেছে এবং ভূমি ব্যবস্থাপনাকে আরও দুরূহ করে তুলেছে।

তিনি বলেন, আমরা সকলে জনগণের জন্য কাজ করি তাই জনগণের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য আমাদের সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে। এখানে কে কোন মন্ত্রণালয় কাজ করছেন সেটা মুখ্য নয়,মুখ্য হচ্ছে জনগণকে কতটুকু সেবা দিতে পেরেছি। ভূমি রেজিস্ট্রেশন মূলত ভূমি ব্যবস্থাপনারই একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। জমির মালিকানা হস্তান্তর, দলিল সম্পাদন, নামজারি ও খতিয়ান সংশোধন সবকিছুই একই ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার অন্তর্ভুক্ত। অথচ এই একই প্রক্রিয়ার দায়িত্ব যখন ভিন্ন ভিন্ন মন্ত্রণালয়ের হাতে থাকে, তখন তথ্যের সমন্বয় ব্যাহত হয়, সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিলম্ব ঘটে এবং দুর্নীতির সুযোগ বাড়ে।

তিনি আরো বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে ভূমি রেজিস্ট্রেশন আনা হলে একটি একক কর্তৃত্ব ও সমন্বিত ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা সম্ভব হবে। এতে ভূমি সংক্রান্ত সব তথ্য এক প্ল্যাটফর্মে সংরক্ষণ ও যাচাই করা সহজ হবে। ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়নও আরও কার্যকর হবে। একই সঙ্গে দলিল জালিয়াতি, দ্বৈত নিবন্ধন ও কাগজপত্রের অসামঞ্জস্য অনেকাংশে কমে আসবে। বর্তমানে দেখা যায়, একটি জমি কেনার পর মালিকানা নিশ্চিত করতে বছরের পর বছর লেগে যায়। ভূমি রেজিস্ট্রেশন যদি ভূমি মন্ত্রণালয়ের সরাসরি তত্ত্বাবধানে থাকে, তবে এক ছাতার নিচে সেবার মাধ্যমে জনভোগান্তি কমানো সম্ভব। ভূমি সংক্রান্ত সব কার্যক্রমকে একটি সমন্বিত কাঠামোর আওতায় আনতে হলে ভূমি রেজিস্ট্রেশনকে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীন করা হলে ভূমি ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ফিরবে, দুর্নীতি কমবে।

ভুমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এএসএম সালেহ আহমেদ এর সভাপতিত্বে সভায় ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান (সচিব) এজেএম সালাউদ্দিন নাগরী,ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান(গ্রেড-১) ড.মো:মাহমুদ হাসানসহ মন্ত্রণালয়য়ে অতিরিক্ত সচিববৃন্দ এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.