বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫, ১২:১৬ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম
বাণিজ্য উপদেষ্টার সাথে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার সাউথ-সাউথ অ্যান্ড ট্রায়াঙ্গুলার কো-অপারেশন বিভাগের পরিচালক এর বৈঠক জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি ৪৪ জনের মধ্যে আটজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার সাথে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ সোহাগ হত্যা মামলার আরও দুই আসামি গ্রেফতার ১০,০০০ পিস ইয়াবাসহ তিন মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে ডিবি-গুলশান* মাইলস্টোন স্কুলে বিমান দুর্ঘটনায় হতাহতের তালিকা প্রস্তুত করতে স্কুল কর্তৃপক্ষের কমিটি গঠন প্রকৃতি-ভিত্তিক সমাধান এবং উন্নত দেশগুলোকে যথাযথভাবে জলবায়ু দায়িত্ব পালনের আহ্বান – উপদেষ্টার সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান গুলিস্তানে ছাত্রলীগের দুই সদস্য ককটেলসহ গ্রেফতার র্ণফুলী টানেলের মেইনটেন্যান্স কাজের জন্য ট্রাফিক ডাইভারসন শিক্ষা সচিব পরীক্ষা পেছাতে রাজি হয় নাই শিক্ষার্থীদের বিক্ষুব্ধ করতেই এই কৌশল

ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন রোডম্যাপ বাস্তবায়ন জরুরি– বাণিজ্য উপদেষ্টা

আলী আহসান রবি / ১৪০ পাঠক
প্রকাশকাল বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫, ১২:১৬ পূর্বাহ্ন

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তীর্ণ হওয়ার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন রোডম্যাপ বাস্তবায়ন জরুরি। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের দক্ষতা ও প্রতিযোগী মনোভাব তৈরি করতে হবে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার বিয়াম ফাউন্ডেশন মাল্টিপারপাস হলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত ন্যাশনাল ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন কমিটির (এনটিএফসি) ৮ম সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়সংক্রান্ত বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী সভায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

আমরা ২০২৬ সালের নভেম্বরে এলডিসি গ্র্যাজুয়েট হতে যাচ্ছি। এই গ্র্যাজুয়েশনের কারণে সামনে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে আমাদের ওপর বিভিন্ন নিয়ম আসবে উল্লেখ করে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, এতে আমাদের অর্থনীতিতে যে ধাক্কাটা আসবে তা থেকে পরিত্রাণের নিয়ামক হচ্ছে সক্ষমতা বৃদ্ধি করা। এ কারণে আমাদের প্রতিযোগিতা বাড়াতে হবে দক্ষতার মাধ্যমে। এ ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই বলে উল্লেখ করেন তিনি।

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ২০৩০ সাল পর্যন্ত আমাদের সময় আছে। আমি মনে করি এটা দীর্ঘ সময়। যদি ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে আমরা গ্রাজুয়েট করি,আমি মনে করি আমাদের ওয়ার্কিং গ্রুপগুলো একসাথে কাজ করলে একটা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ সম্ভব।

লুৎফে সিদ্দিকী বলেন,আমাদের একটি সুনির্দিষ্ট সময় সীমা নির্ধারণ করে কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে হবে।সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে, পাশাপাশি ব্যবসা সহজীকরণ করতে হবে।আমরা সমন্বয় ও সহযোগিতা বাড়াতে চাই।
সভায় নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব,সচিব সেতু বিভাগ,লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক সচিব, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব )
বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান,এফবিসিসিআই আই এর প্রশাসক,স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ,চট্রগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, ইপিবি এর ভাইস চেয়ারম্যান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) সহ কমিটির সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন এগ্রিমেন্ট এর মূল উদ্দেশ্য বাণিজ্য উদারীকরণের স্বার্থে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্পর্কিত বিধি-বিধান ও কর্মপদ্ধতি পর্যালোচনা করে আমদানী ও রপ্তানি পণ্যের প্রসার ও চলাচল ত্বরান্বিত করা।
ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন এগ্রিমেন্ট এর আওতায় গৃহীত কার্যক্রমকে ৩টি (এ, বি, সি) ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়।এ ক্যাটাগরির ২১টি কার্যক্রমের বাস্তবায়ন সংক্রান্ত নোটিফিকেশন ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে ডব্লিউটিও’তে প্রেরণ করা হয়। বি ক্যাটাগরির ১৮টি কার্যক্রম বাস্তবায়নের ভিন্ন ভিন্ন সময়সীমা নির্ধারিত ছিল।
বি ক্যাটাগরি কার্যক্রমসমূহ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। বাস্তবায়ন সংক্রান্ত নোটিফিকেশন ভিন্ন ভিন্ন তারিখে ডব্লিউটিও’তে প্রেরণ করা হয়।সি ক্যাটাগরির ১৫টি কার্যক্রম বাস্তবায়নের সর্বশেষ সময়সীমা ৩০ জুন ২০৩০ তারিখ। ইতোমধ্যে সি ক্যাটাগরির ৫টি কার্যক্রম বাস্তবায়ন হয়েছে এবং এ সংক্রান্ত নোটিফিকেশন ডব্লিউটিও’তে প্রেরণ করা হয়েছে। অবশিষ্ট ১০টি কার্যক্রম চলমান রয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *