সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৪৬ পূর্বাহ্ন
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, গ্রামীণ টেলিকম এর এমডি বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ (সংশোধিত ২০১৮) অনুযায়ী কোম্পানির বাৎসরিক লভ্যাংশের ০.৫% হারে ৩৮,৩৯,৪৯,৭৭০ ( আটত্রিশ কোটি উনচল্লিশ লক্ষ উনপঞ্চাশ হাজার সাতশত সত্তর) টাকার চেক হস্তান্তর করেন। এ টাকা শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের তহবিলে জমা হবে। বাংলাদেশের সকল অঞ্চল ও স্তরের প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক শ্রমিক ও শ্রমিকের পরিবারের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে এ অর্থ ব্যয় হবে।
উপদেষ্টা আজ বুধবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, শ্রম আইন ২০০৬ (সংশোধিত ২০১৮) এর “২৩২ ধারার উপধারা-১ মোতাবেক শর্ত পূরণ করে এমন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের হিসাব বৎসরের শেষ দিনে উহার পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ অন্যূন এক কোটি টাকা এবং কোন হিসাব বৎসরের শেষ দিনে উহার স্থায়ী সম্পদের মূল্য অন্যূন দুই কোটি টাকা হলে কোম্পানির মুনাফায় শ্রমিক অংশগ্রহণ করবে।
“২৩৪ ধারার উপধারা-১ এ অনুযায়ী প্রত্যেক কোম্পানী-এর মালিক প্রত্যেক বৎসর শেষ হইবার অন্যূন নয় মাসের মধ্যে, পূর্ববর্তী বৎসরের নিট মুনাফার পাঁচ শতাংশ (৫%) অর্থ যথাক্রমে অংশগ্রহণ, কল্যাণ তহবিল এবং বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন, ২০০৬ এর ধারা ১৪-এর অধীন স্থাপিত শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে প্রদান করিবে”।
এছাড়া আইনের ২৩৬ ধারায় যথা সময়ের অর্থ প্রদান না করিলে জরিমানাসহ অর্থ আদায়ের বিধান করা হয়েছে।
উপদেষ্টা আরও বলেন শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলের অর্থ মৃত শ্রমিকদের অনুদান, ছাত্র বৃত্তি এবং শ্রমিকদের জরুরি চিকিৎসায় খরচ করা হবে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক মো. মুনির হোসেন খান, গ্রামীণ টেলিকমের প্রতিনিধিবৃন্দসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার গণমাধ্যমকর্মী উপস্থিত ছিল।