সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:৩৪ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম
সরকার কৃষক ও ভোক্তা উভয়ের স্বার্থ সংরক্ষণের চেষ্টা করছে – স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা নির্বাচন ও গণভোটের প্রস্তুতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করলেন সিইসি বাণিজ্য উপদেষ্টার সাথে থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত এর বৈঠক খাদ্যদূষণ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার উদ্বেগ, সংকট মোকাবিলায় সকলকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান বায়তুল মুকাররম মসজিদে ইবাদতবান্ধব ধর্মীয় আবহ তৈরি হয়েছে- ধর্ম উপদেষ্টা বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত জুলাই আন্দোলনের শহীদ ১১ স্কাউটের আত্মত্যাগে নতুন বাংলাদেশ নির্মাণের প্রেরণা খুঁজে পাই — শিক্ষা উপদেষ্টা ড. সি. আর. আবরার জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় নারী উদ্যোক্তাদের জন্য অতিরিক্ত অর্থায়ন প্রয়োজন -মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বন্যপ্রাণী রক্ষায় নতুন প্রজন্মের অগ্রণী ভূমিকা অনস্বীকার্য – উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বাংলাদেশ মিশন আদ্দিস আবাবায় ই-পাসপোর্ট সেবা কার্যক্রম এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে।

সাংস্কৃতির অঙ্গনের অগ্রণী ব্যক্তিত্ব সানজিদা খাতুন এর মৃত্যুতে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের শোকবার্তা — উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ

মোঃ সিকান্দার আলী / ১৪০ পাঠক
প্রকাশকাল সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:৩৪ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশের সাংস্কৃতির অঙ্গনের অগ্রণী ব্যক্তিত্ব সানজীদা খাতুন এর প্রয়াণে আমরা শোকাহত। গত ২৫ মার্চ ২০২৫ (মঙ্গলবার ) সাংস্কৃতিক ও শিক্ষার দেশীয় ধারার এই সাধক শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতীয়তাবাদের যে উন্মেষ ও বিকাশ, সানজীদা খাতুন ছিলেন সেই স্রোতধারার সাহসী সৈনিক। রবীন্দ্র জন্মশত বার্ষিকী পালনে তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের বাধাদান পরবর্তী সাংস্কৃতিক তৎপরতার অংশ হিসেবে ‘ছায়ানট’ গঠিত হলো, সানজীদা খাতুন তার সাথে যুক্ত হলেন। আবৃত্তি, অভিনয়, গানচর্চার পাশাপাশি থেকে সাংস্কৃতিক সংগ্রামের সাথে তার সম্পৃক্ততা ও সক্রিয়তার শুরু। দেশের শিল্পী, সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদদের অনেকেই যখন রাজনীতিতে সকলের অংশগ্রহণের বিষয়টিকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছিলেন, সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তে সানজীদা খাতুন সংগীত চর্চাকেই মূখ্য বলে গণ্য করেছেন। ১৯৬৭ সালের পহেলা বৈশাখের প্রথম অনুষ্ঠান রবীন্দ্রনাথের এসো হে বৈশাখ ‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো’ যখন দর্শকের কাছে উৎসবের আনন্দময় প্রকাশ হিসেবে গ্রহণযোগ্যতা পেল, গান ও সুরের প্রতি সানজীদা খাতুনের পক্ষপাত, সেদিন থেকে সাংস্কৃতিক উদযাপনে নতুন মাত্রা যোগ করল। উল্লেখ্য যে, ছায়ানট শুরুতে পল্লীগীতি ও গণসংগীতকেও জনপ্রিয় করে তোলার তাগিদে নানামুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। নজরুলের কবিতা ও গান সেই সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অভিচ্ছেদ্য অংশ ছিল। ছায়ানটের একজন সংগঠক হিসেবে সানজীদা খাতুন এক পর্যায়ে দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে সঞ্জীবিত করবার পাশাপাশি শিক্ষাঙ্গনে মানবিক চেতনার বিকাশের কথা ভাবতে শুরু করেন । তাঁর উদ্যোগ যে বিদ্যায়তনের জন্ম হয়, তার পেছনে রবীন্দ্রনাথের শিক্ষা বিষয়ক চিন্তা যেমন অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে, তেমনই জার্মান স্পিরিচুয়ালিস্ট রুডল্ফ স্টেইনারের শিশুশিক্ষা ও শিশুর বিকাশ সংক্রান্ত ভাবনা অনায়াসে যুক্ত হয়েছে। তার নাম আমাদের সংস্কৃতির একটি বিশেষ অধ্যায়ের সাথে সম্পর্কিত। একাত্তরের সাংস্কৃতিক প্রস্তুতি পর্বে এবং স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে সংগীতের বিকাশ, এই দুই পর্বের তিনি মহীরুহ।
তাঁর মৃত্যুতে জাতির যে অপূরণীয় ক্ষতি, তার প্রেক্ষিতেই তাঁর অবদানের মূল্যায়নের শুরু হতে হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *