রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:০৯ অপরাহ্ন

শিরোনাম
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ” এবং “ওমেরা রিনিউয়েবল এনার্জি লিমিটেড” এর মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত ২ অক্টোবর থেকে সচিবালয় সিঙ্গেল-ইউজ প্লাস্টিক মুক্ত করতে চেকিং, সচেতনতা ও মনিটরিং কার্যক্রম চালু হচ্ছে জরুরি যৌথ আরব-ইসলামিক শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করছে বৈঠকে যোগ দেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মোঃ তৌহিদ হোসেন নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে প্রাণী রোগমুক্ত রাখা জরুরি -মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব -ড. মো. সানোয়ার জাহান ভুঁইয়া বিডা’র ওএসএস প্ল্যাটফর্মে নিবন্ধন অধিদপ্তরের পাঁচটি নতুন সেবা উদ্বোধন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের মেয়াদ কমানোর চিন্তাভাবনা করছে সরকার- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লন্ডনে উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের ওপর হামলার চেষ্টায় নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীনের মৃত্যুতে উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদের শোক প্রকাশ বরেণ্য শিল্পী ফরিদা পারভীনের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক

সরকারি কর্মচারীরা দুর্নীতি করার অধিকার আদায় করতে রাস্তায় দাঁড়ায়নি, তারা দাঁড়িয়েছে মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের পক্ষে, ন্যায়ের পক্ষে, মানবতার পক্ষে…

আলী আহসান রবি - স্টাফ রিপোর্টার / ৮০ পাঠক
প্রকাশকাল রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:০৯ অপরাহ্ন

সরকারি চাকুরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ এর বিরুদ্ধে সারাদেশের সরকারি কর্মচারীরা কেন প্রতিবাদ করছে? অধ্যাদেশে কি আছে? আমরা কি পড়ে দেখিছি? বোঝার চেষ্টা করেছি? কর্মচারীরা কেন প্রতিবাদ করছে? এই অধ্যাদেশটিতে কি কি অধিকার হরণ করা হয়েছে? আমরা না জেনেই কর্মচারীদের যৌক্তিক প্রতিবাদের বিরোধীতা করছি। কর্মচারীদের মধ্যে যারা জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে মাঠে থেকে সহযোগিতা করছে তারাও রয়েছে। যারা ফেসিবাদের নিখাতনে চাকুরীচ্যুত হয়েছিল তারা রয়েছে। যারা ফেসিবাদের রোষানলে পরে দীর্ঘদিন ওএসডি ছিল তারাও রয়েছে। তাহলে কেন এই আন্দোলন?

সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সনের ৫৭ নং আইন)-এ ৩৭ক প্রতিস্থাপন করে যা বলা হয়েছে-
(ক) এমন কোনো কার্যে লিপ্ত হন, যাহা অনানুগত্যের (insubordination) শামিল বা যাহা অন্য যেকোনো সরকারি কর্মচারীর মধ্যে অনানুগত্য সৃষ্টি করে বা শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করে বা কর্তব্য সম্পাদনে বাধার সৃষ্টি করে, অথবা

(খ) অন্যান্য কর্মচারীদের সহিত সমবেতভাবে বা এককভাবে, ছুটি ব্যতীত বা কোনো যুক্তিসংগত কারণ ব্যতীত, নিজ কর্ম হইতে অনুপস্থিত থাকেন বা বিরত থাকেন বা কর্তব্য সম্পাদনে ব্যর্থ হন, অথবা

(গ) অন্য যেকোনো কর্মচারীকে তাহার কর্ম হইতে অনুপস্থিত থাকিতে বা বিরত থাকিতে বা তাহার কর্তব্য পালন না করিবার নিমিত্ত উসকানি দেন বা প্ররোচিত করেন, অথবা

(ঘ) যেকোনো সরকারি কর্মচারীকে তাহার কর্মে উপস্থিত হইতে বা কর্তব্য সম্পাদনে বাধাগ্রস্ত করেন।
উল্লিখিত যে কোন কর্মের জন্য সরকারি কর্মচারীকে নিম্নবর্ণিত যে কোন দন্ড প্রদান করা যাবে-

(ক) নিম্নপদ বা নিম্নবেতন গ্রেডে অবনমিতকরণ; (খ) চাকরি হইতে অপসারণ; এবং (গ) চাকরি হইতে বরখাস্ত।

> শান্তি প্রদান পদ্ধতি:

১. অধ্যাদেশে বর্ণিত যে কোনো অপরাধের জন্য কর্মচারীকে ৭ (সাত) কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করবে। কর্মচারীর প্রদত্ত জবাব ও ব্যক্তিগত শুনানি গ্রহণের পর ৭ (সাত) কার্যদিবসের মধ্যে উপরে বর্ণিত দন্ড কেন আরোপ করা হবেনা মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করবে। অভিযুক্ত জবাব দেয়ার পর নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ কর্মচারীকে দোষী সাব্যস্ত করেন, অথবা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জবাব প্রদান না করলে কর্তৃপক্ষ চাকরি হতে বরখাস্ত করতে পারবে।

২. এ ধারার অধীন রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রদত্ত আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে না, তবে পুনর্বিবেচনার (Review) জন্য রাষ্ট্রপতির নিকট আবেদন করতে পারবেন এবং রাষ্ট্রপতি যেরূপ উপযুক্ত মনে করবেন, সেরূপ আদেশ প্রদান করতে পারবেন। পুনর্বিবেচনায় (Review) প্রদত্ত আদেশ চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।

৩. কর্মচারীর নিকট যদি নোটিশ জারি করা হয় কিংবা তার সর্বশেষ জ্ঞাত বাসস্থানের কোনো দৃষ্টিগোচর স্থানে লটকিয়ে জারি করা হয়, অথবা অন্যূন ২ (দুই) টি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়, অথবা তার ই-মেইলে নোটিশ প্রেরণ করা হয়, তা হলে এ ধারার অধীন নোটিশ যথাযথভাবে জারি হয়েছে বলে গণ্য হবে।

ধারা ৩৭ক এর প্রতিস্থাপনের কারণে কি কি সমস্যা হতে পারে।

“অনানুগত্য”, বা “শৃঙ্খলা বিঘ্ন” এই শব্দগুলোর ব্যাখ্যা স্পষ্ট নয়, কর্তৃপক্ষ এগুলো ইচ্ছেমতো ব্যবহার করতে পারবে। যৌক্তিক দাবি আদায়ে শান্তিপূর্ণ কর্মবিরতিও ‘অসদাচরণ’ হিসেবে বিবেচিত হবে।

উর্ধ্বতন কর্মকর্তা অন্যায় করলেও তার কোন প্রতিবাদ করা যাবেনা। উর্ধ্বতন কর্মকর্তার প্রতি অতিরিক্ত আনুগত্যের চাপে নারী চাকরিজীবীরা অনৈতিক প্রস্তাবেরও প্রতিবাদ করতে পারবেনা। সে কারণে কর্মস্থলে যৌন নিপীড়নের ঝুঁকিতে পড়তে পারে বিধায় নারী কর্মচারীদের নৈতিক অধিকার হরণ করা হয়েছে।

অভিযোগ প্রমাণিত হলে সরাসরি বরখাস্ত বা অপসারণ পর্যন্ত শাস্তির ব্যবস্থা থাকায় মৌলিক অধিকার হরণ করা হয়েছে। যে তদন্ত প্রক্রিয়ায় এত বড় শাস্তির বিধান করা হয়েছে তা খুবই দুর্বল।

১০ম গ্রেড তদুর্ধ্ব কর্মচারীর নিয়োগ ও আপীল কর্তৃপক্ষ রাষ্ট্রপতি হওয়ায় শান্তির বিরুদ্ধে আপীল করার কোন সুযোগ রাখা হয়নি। একমাত্র ‘পুনর্বিবেচনার আবেদন’ করা গেলেও রাষ্ট্রপতি কতদিনে নিষ্পত্তি করবেন তার কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়নি।

অধ্যাদেশে উর্ধ্বতন কর্মকর্তার প্রতি আনুগত্যের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে উল্লেখ করা হয়েছে, যা স্বাধীন মতামত প্রকাশ ও ন্যায্যতার পরিপন্থী হতে পারে। উর্ধ্বতন কর্মকর্তার মর্জি অনুযায়ী যে কোনো সময় ৭-১৪ দিনের নোটিশে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার বিধান রাখা হয়েছে। আত্মপক্ষ সমর্থনের প্রক্রিয়াটি খুবই দুর্বল। সে কারণে চাকরির নিরাপত্তাহীনতা কর্মপরিবেশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

রাষ্ট্রপতির আদেশ চূড়ান্ত বলে গণ্য হওয়ার কারণে আদালতে আশ্রয় নেওয়ার পথ বন্ধ করা হয়েছে। সে কারণে ন্যায় বিচারের ভিত্তি ধ্বংস করা হয়েছে।

কোন কর্মচারীর বাসায় নোটিশ না লটকিয়েও অসাধু কোন ব্যক্তি লটকানোর রিপোর্ট করলে তা প্রমাণের কোন সুযোগ রাখা হয়নি। ২টি লোকাল পত্রিকায় গোপনে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করারও সুযোগ রয়েছে। এসব কারণে কর্মচারী তার অপরাধ জানার আগেই চাকরি হতে বরখাস্ত হতে পারে। এ কারণে নোটিশ জারীর প্রক্রিয়াটি অস্বচ্ছ মনে হচ্ছে।

ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অতিরিক্ত ক্ষমতা দেয়ার কারণে “জি স্যার” না বললে, অন্যায় আদেশ না মানলে, চাকরি খেয়ে ফেলার সুযোগ রাখা হয়েছে।

এ অধ্যাদে জারীর কারণে প্রশাসনের ভেতরে একটি চাপ ও আতঙ্কজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, যেখানে কেউ নিরাপদ অনুভব করছেন না।

আইনটি করার উদ্দেশ্য-

রাষ্ট্রের কর্মচারীদের সৎ, স্বাধীন, মানবিক ব্যক্তি থেকে গোলামে পরিণত করা।

এমন একটি আইনের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো মানেই কি দুর্নীতির পক্ষ নেওয়া? বরং, এর বিরুদ্ধে দাঁড়ানো মানেই ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ানো। সরকারি কর্মচারীরা সংস্কারের পক্ষে, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার পক্ষে, সুশাসনের পক্ষে, কিন্তু ‘আনুগত্যের নামে গোলামী’ চাপিয়ে দেওয়ার বিরুদ্ধে।

অধ্যাদেশে দুর্নীতি বা ঘুষের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তির বিধান রাখা হয়নি। উল্টো উর্ধ্বতন কর্তার দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে শাস্তির মুখোমুখি হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

> চাকরির নিরাপত্তা

এ আইনের কারণে কর্মচারীদের চাকরির নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে। অধ্যাদেশে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না রেখে চাকরি থেকে চূড়ান্ত অবসানের বিধান রাখা হযেছে, যা কর্মচারীদের জন্য ‘অমানবিক ও অবিচারমূলক’।

> সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত প্রক্রিয়া:

কর্মচারীদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ উঠলে তা তদন্তের জন্য একটি স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ প্রক্রিয়া থাকা উচিত, যেখানে আত্মপক্ষ সমর্থনের পর্যাপ্ত সুযোগ থাকবে। নতুন অধ্যাদেশে অভিযোগ প্রমাণিত না হলেও চাকরি হারানোর সম্ভাবনা রয়েছে, যা কর্মচারীদের

উদ্বেগের কারণ।

> নীতিমালা প্রণয়নে অংশীদারিত্ব:

কর্মচারীদের প্রভাবিত করে এমন কোনো আইন বা নীতিমালা প্রণয়নের আগে সংশ্লিষ্ট কর্মচারী সংগঠনগুলোর সাথে আলোচনা ও তাদের মতামত গ্রহণ করা। সম্প্রতি অধ্যাদেশটি প্রণয়নের আগে কোনো স্বীকৃত সংগঠন বা জনমত যাচাই করা হয়নি।

> অধ্যাদেশটি সংবিধান বিরোধী-

এ অধ্যাদেশটি বাংলাদেশ সংবিধানের ১১. গণতন্ত্র ও মানবাধিকার, ৩১. আইনের আশ্রয়-লাভের অধিকার, ৩২. জীবন ও ব্যক্তি-

স্বাধীনতার অধিকার-রক্ষণ, ৪৪. মৌলিক অধিকার বলবৎকরণ ও বাংলাদেশের সংবিধানের ১৩৫. অসামরিক সরকারী কর্মচারীদের বরখাস্ত প্রভৃতি, অনুচ্ছেদে সরকারি চাকরিজীবীদের শৃঙ্খলামূলক কার্যক্রমে ন্যায্যতা ও মৌলিক অধিকার গুলোর

নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে। অধ্যাদেশটির কিছু বিধান উপরে বর্ণিত অনুচ্ছেদ গুলোর সাথে সাংঘর্ষিক।

জনপ্রশাসনের কর্মচারীদের আচরণগত ও দৃষ্টিভঙ্গির সংস্কার/নারীবান্ধব কর্ম-পরিবেশ নিশ্চিত করার বিষয়ে সরকার কর্তৃক গঠিত জনপ্রশাসন

সংস্কার কমিশন যে সুপারিশ করেছে তা হলো-

সরকারি কর্মচারীদের জন্য একটি সরকারি আচরণ বিধি (The Government Employees Conduct Rules) এর সংশোধন করে একটি সাধারণ শিষ্টাচার ও আচরণ সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়ন।

সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে এখন প্রচুর সংখ্যক নারী কর্মরত রয়েছে। তাদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। কমিশন মনে করে যে, প্রতিটি মন্ত্রণালয় ও তার অধিনস্থ অফিসগুলোতে নারী-বান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে তদারকীর জন্য একজন নারী অফিসারকে দায়িত্ব প্রদান করা উচিত।

> সংস্কার কমিশনের বর্তমান অবস্থা:

কেউ কেউ অধ্যাদেশটি রাষ্ট্র সংস্কারের অংশ বলার চেষ্টা করছে। সংস্কার কমিশন গুলোর প্রতিবেদন এখনও চূড়ান্ত হয়নি। রাজনৈতিক দলসমূহের সাথে সংলাপ চলমান রয়েছে। সংস্কার কমিশনের সংস্কার প্রস্তাব চূড়ান্ত হওয়ার পূর্বেই এমন একটি অধ্যাদেশ জারী করা সংস্কার কমিশনের কার্যক্রমকে প্রশ্নের সম্মুখীন করেছে।

সরকারি চাকুরীজীবি নারীদের কর্মস্থলে নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য কমিশন একজন নারী অফিসারকে দায়িত্ব প্রদান করার সুপারিশ করলেও সেই সুপারিশ বাস্তবায়নের পূর্বেই জারীকৃত অধ্যাদেশটিতে পুরুষ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার প্রতি অতিরিক্ত আনুগত্যের চাপে নারী চাকরিজীবীরা কর্মস্থলে যৌন নিপীড়নের ঝুঁকিতে রয়েছে। যা কিনা সংস্কার কমিশনের সুপারিশের পরিপন্থী।

সাংবিধানিক অধিকার বজায় রেখে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের চূড়ান্ত প্রতিবেদনের আলোকে একটি মানবিক, ন্যায্য ও গণতান্ত্রিক আইন/অধ্যাদেশ পাশ করা হোক।

দেশের এ ক্লান্তিলগ্নে কেনইবা এ আইনটি করার প্রয়োজন হলো? কারা এ আইনটি করল? তাদের কি স্বার্থ রয়েছে? সরকারকে বিব্রত করার

জন্য কি কোন ষড়যন্ত্র? সেটি ভেবে দেখতে হবে।

দেশের নাগরিকরা বিষয়টি নিয়ে অনেক মন্তব্য করছে। আমরা যারা সরকারি চাকরি করি তারাও এ দেশের নাগরিক। সাংবিধানিক ভাবে দেশের নাগরিকদের যতটুকু অধিকার আছে সরকারি কর্মচারীদের ও নাগরিক হিসেবে ততটুকু অধিকার আছে। নাগরিকরা যেভাবে সরকারকে ভ্যাট ট্যাক্স দেয়, সরকারি কর্মচারীরাও সেভাবে ভ্যাট ও ট্যাক্স দেয়। ভুল বুঝার কোন অবকাশ নেই।

➤ সুপারিশ:

জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন চূড়ান্ত করার পর সরকারি কর্মচারীদের জন্য সাংবিধানিক অধিকারগুলো সমুন্নত রেখে সরকারি আচরণ বিধি (The Government Employees Conduct Rules) সংশোধন করে সাধারণ শিষ্টাচার ও আচরণ সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়ন করা।

সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক হওয়ায় জরুরী ভিত্তিতে জায়কৃত অধ্যাদেশটি বাতিল করা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *