শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:২১ অপরাহ্ন

শিরোনাম
সাধারণ শিক্ষার সাথে দ্বীনি শিক্ষার সমন্বয় করা না হলে মানুষ অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে যেতে পারে। ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ.ফ.ম. খালিদ হোসেন বলেছেন স্বার্থে পরিবেশ সংরক্ষণ ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় এখনই সর্বোচ্চ মনোযোগ দিতে হবে। – পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং টোবগে ঢাকায় পৌঁছেছেন খুলনা বিভাগের উন্নয়নচ্যালেঞ্জে বিশিষ্টজনদের ৫ দফা সুপারিশ মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আগামী ২৫ নভেম্বর ২০২৫ থেকে ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত ১৬ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ পালিত হবে। স্কুল শিক্ষার্থীদের নিয়ে হাইজিন ক্যাম্পেইন শুরু করলো লায়ন কল্লোল দ্য ওয়েস্টিন ঢাকা আয়োজন করছে “টেস্ট অফ অ্যারাবিয়া” – আরব বিশ্বের আসল স্বাদ ও সমৃদ্ধ রন্ধন ঐতিহ্যের এক অনন্য উৎসব প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপার্সনের সৌজন্য সাক্ষাৎ আলেমদেরকে রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হবে          -ধর্ম উপদেষ্টা সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ ২১ নভেম্বর ২০২৫

কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণ স্কিম জোরদারে বাংলাদেশ-দক্ষিণ কোরিয়ার সমঝোতা পত্র স্বাক্ষর

মোঃ সিকান্দার আলী / ৬৭ পাঠক
প্রকাশকাল শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:২১ অপরাহ্ন

বাংলাদেশে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের জন্য টেকসই ক্ষতিপূরণ স্কিম প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ও দক্ষিণ কোরিয়ার স্বনামধন্য সামাজিক সুরক্ষা প্রতিষ্ঠান K-COMWEL এর মধ্যে আজ একটি সমঝোতা পত্র (Letter of Intent) স্বাক্ষরিত হয়েছে। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় (MoLE), আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (ILO) এবং GIZ-এর সহযোগিতায় বাস্তবায়িত পাইলট প্রকল্পের সাফল্যের ভিত্তিতে এই চুক্তি সম্পাদন করা হয়।

আজ সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অবস্থিত আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সদর দপ্তরে এ সমঝোতা পত্র স্বাক্ষর হয়।

সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার অফিসিয়াল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিস্ট্যান্স (ODA) , বাংলাদেশে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রকল্প (EIS) বাস্তবায়নের জন্য পুনর্বাসন পরিষেবা, পেশাগত রোগ কভারেজ ও প্রশাসনিক ব্যয় বিষয়ে গভীর সমীক্ষা পরিচালনায় ২ দেশ একত্রে কাজ করবে। EIS বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট নীতিনির্ধারক, প্রশাসনিক ইউনিট ও স্টেকহোল্ডারদের জন্য প্রশিক্ষণ ও কারিগরি সহায়তা প্রদান করা হবে। সেসাথে শ্রমিক ও মালিক প্রতিনিধির পরামর্শ গ্রহণ করা হবে।

২০২৪ সালে বাংলাদেশের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল দক্ষিণ কোরিয়ার K-COMWEL (Korea Workers’ Compensation & Welfare Service) পরিদর্শন করে এবং ODA-ভিত্তিক সহযোগিতার পথ সুগম হয়। ILO-এর ২০১৫ সাল থেকে চলমান গবেষণা ও চলতি পাইলট প্রকল্পের অভিজ্ঞতাকে ভিত্তি করে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়।

উভয় দেশ ILO-এর কনভেনশন ১২১ (কর্মক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ সুবিধা, ১৯৬৪) অনুযায়ী কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই সমঝোতা পত্র আইনি বাধ্যবাধকতা তৈরি না করলেও ভবিষ্যৎ প্রযুক্তিগত সহযোগিতা ও জাতীয় EIS বাস্তবায়নের ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে।

এ প্রকল্পে ILO, GIZ এবং বাংলাদেশের শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষায় অংশীদারদের সম্পৃক্ততা রয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার K-COMWEL তাদের কারিগরি জ্ঞান ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে বাংলাদেশের টেকসই ক্ষতিপূরণ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সহায়তা করবে।

সম্ভাব্যতা সমীক্ষা শেষে একটি পূর্ণাঙ্গ জাতীয় EIS চালু করার লক্ষ্যে উভয় দেশ কাজ করবে। এটি বাংলাদেশের শ্রমিকদের জন্য ন্যায্য ও কার্যকর সুরক্ষা নিশ্চিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে এ সমঝোতা পত্র স্বাক্ষর করেন। এ সময় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সহকারী মহাপরিচালক Ms. Mia Seppo উপস্থিত ছিলেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *