শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:১০ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম
গোপালগঞ্জ যুবলীগ নেতা ফিরোজ মাহমুদকে গ্রেফতার করেছে খিলগাঁও থানা পুলিশ ৬০০০ পিস ইয়াবাসহ দুই পেশাদার মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক অনুষ্ঠিত কাঠমান্ডুতে বাংলাদেশ দূতাবাস নেপালে থাকা সকল বাংলাদেশি নিরাপদে আছেন বিআইডব্লিউটিএ এর কর্মকর্তাদের উৎকোচ গ্রহণের অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় বিএফআইডিসির আধুনিকায়ন ও রপ্তানি সম্ভাবনা উন্মোচনে পরিবেশ উপদেষ্টা ও ইউএনসিডিএফ-এর বৈঠক রূপপুর গ্রীণসিটি প্রকল্পে অস্বাভাবিক ব্যয়ের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় আরো দুই উপ-সহকারী প্রকৌশলীকে বাধ্যতামূলক অবসর ও একজনকে নিম্নবেতন গ্রেডে অবনমিতকরণ গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে ৫০০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার, গ্রেফতার তিন নেপাল থেকে বিশেষ ফ্লাইটে দেশের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে জাতীয় ফুটবল দল আওয়ামী সরকারের আমলে স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতির হোতা মোতাজ্জরুল ইসলাম মিঠুকে গ্রেফতার করেছে (ডিবি)

দেশের প্রথম রোবটিক রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারে পাইলট প্রকল্প শুরু:

আলী আহসান রবি / ৮৬ পাঠক
প্রকাশকাল শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:১০ পূর্বাহ্ন

পক্ষাঘাতগ্রস্ত ও দীর্ঘমেয়াদি স্নায়ুজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীদের পুনর্বাসনে নতুন যুগের সূচনা করছে বাংলাদেশ। আগামী বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) থেকে রাজধানীর শাহবাগে অবস্থিত বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএমইউ)-এর সুপারস্পেশালাইজড হাসপাতালে স্থাপিত দেশের প্রথম রোবটিক রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারে সীমিত পরিসরে পাইলট প্রকল্প শুরু হতে যাচ্ছে। চীনের কারিগরি সহায়তায় প্রতিষ্ঠিত এই সেন্টারটি উন্নত বিশ্বের মানদণ্ডে গড়ে তোলা হয়েছে, যেখানে মিলবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ও সুনির্দিষ্ট পুনর্বাসন সেবা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চীনের সরকার এই প্রকল্পে প্রায় ২০ কোটি টাকা মূল্যের রোবটিক যন্ত্রপাতি অনুদান দিয়েছে। প্রযুক্তির দিক থেকে এই সেন্টারটি হবে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম আধুনিক রোবটিক রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার, যা বাংলাদেশের চিকিৎসা খাতে একটি যুগান্তকারী মাইলফলক হয়ে উঠবে।

এই সেন্টারে রয়েছে মোট ৬২টি রোবট, যার মধ্যে ২২টি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ভিত্তিক। এসব রোবটের মাধ্যমে রোগীর অবস্থা অনুযায়ী অত্যন্ত নিখুঁতভাবে ফিজিওথেরাপি, স্নায়ুবিক পুনর্বাসন এবং দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসাসেবা প্রদান করা সম্ভব।

বিএমইউ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেন্টারটি চালুর পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে চীনের ৭ সদস্যের বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের একটি বিশেষজ্ঞ দলের নেতৃত্বে ইতোমধ্যে ২৭ জন চিকিৎসক ও ফিজিওথেরাপিস্টকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জনবল অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা অর্জন করলে এবং প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন হলে সেন্টারটি পুরোদমে চালু করা হবে।

এই রোবটিক সেন্টার যেসব রোগীরা স্ট্রোক, পক্ষাঘাত, স্নায়ুবিক বৈকল্য, দীর্ঘমেয়াদি ব্যথা, নার্ভ ইনজুরি, ফ্রোজেন শোল্ডার, দুর্ঘটনাজনিত জটিলতা বা শরীরের অঙ্গের দুর্বলতাসহ জটিল পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছেন তাদের উপকারে আসবে।

বিশেষ করে জুলাই মাসে সংঘটিত ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে যারা আহত হয়েছেন এবং এখনও দীর্ঘমেয়াদি সমস্যায় ভুগছেন, তাদের এই সেন্টারে বিনামূল্যে রোবটিক চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে।

সেন্টারটি শুধু বিশেষ উদ্দেশ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। পরিকল্পিত নীতিমালার আলোকে সাধারণ রোগীদের জন্যও ধাপে ধাপে সেবা উন্মুক্ত করা হবে। একই সঙ্গে চেষ্টা থাকবে চিকিৎসার ব্যয় রোগীদের আর্থিক সক্ষমতার মধ্যে রাখার।

এই সেন্টার চালু হলে বাংলাদেশ আধুনিক প্রযুক্তি-নির্ভর পুনর্বাসন চিকিৎসায় এক নতুন যুগে প্রবেশ করবে। দেশীয় চিকিৎসাব্যবস্থার জন্য এটি শুধু একটি প্রযুক্তিগত অগ্রগতি নয়, বরং পক্ষাঘাতগ্রস্ত ও দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতায় ভোগা মানুষের জীবনে আশার আলো হয়ে উঠবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *